বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথা মতই বড়দিনের আগে আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষকে দেওয়া হচ্ছে, বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা। তাই এলাকা ভিত্তিকভাবে একাধিক উপভোক্তাকে একত্রিত করে টাকার বিনিময়ে তাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারেন এলাকার প্রভাবশালীরা।
আবাস প্রকল্পে আরও কড়া নবান্ন (Nabanna)
অতীতের এমন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সেই প্রবণতা ঠেকাতে জেলা প্রশাসন গুলিকে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। জানা যাচ্ছে, একইসাথে নির্মাণ সরঞ্জামের জিনিসপত্রের যোগান স্বাভাবিক থাকছে কিনা সে ব্যাপারেও নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ঠেকাতে শুরুতেই জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজের বাড়ি তৈরী করার ব্যবস্থা যেন উপভোক্তারা নিজেরাই করেন।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন আবাসের গোটা প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার জন্য বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই জেলাশাসক, পুলিশ সুপার,পুলিশ কমিশনার এসডিও এবং বিডিও দের উপর দায়িত্ব ছাড়া হয়েছে। এলাকার প্রভাবশালীদের ঠেকানোর মৌখিক বার্তা এই প্রকল্পের নবতম সংযোজন।
অতীতে আবাস প্রকল্প থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, একাধিক সরকারি প্রকল্পে প্রভাবশালীদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর যে অভিযোগ উঠেছিল তা নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই এই দুই প্রকল্পে টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও পরে তা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার (Nabanna)।
আর এবার আবাসের বরাদ্দের পুরো টাকা নিজেরাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই এবার থেকে আরও সতর্ক থাকার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। শুরু থেকেই এই বিষয়ে করা সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবারই আবাস প্রকল্পে ১১ লক্ষ উপভোক্তাদের এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আরও এক লক্ষ মোট ১২ লক্ষ উপভোক্তাদের আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেছে নবান্ন (Nabanna)।
আরও পড়ুন: হাতের ছাপ নেওয়াই সার! দেওয়া হচ্ছে না রেশন, গুরুতর অভিযোগে শোরগোল
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন একসঙ্গে এত মানুষ বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করলে ব্যাপক চাহিদা বাড়বে ইট বালি সিমেন্ট ইত্যাদির। চাহিদা বাড়বে বাড়ি তৈরির মিস্ত্রীদেরও। এই অবস্থায় সেইসবের যোগানে ঘাটতি দেখা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে বাড়ি তৈরির প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য প্রথম কিস্তিতে যে বাড়ি তৈরি হচ্ছে তার প্রমাণ রাখতে হবে।
আর এই সুযোগে প্রভাবশালীরা মিস্ত্রি থেকে সরঞ্জাম সবকিছু যোগানের দায়িত্ব নিয়ে টাকার বিনিময়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারেন উপভোক্তাদের। এর ফলে তৈরি হতে পারে নতুন বিতর্ক। তাই শুরুতেই সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। এপ্রসঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘোষণা মতো উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছেন। সরকার চায় সুষ্ঠুভাবে পুরো কাজটা যাতে সম্পন্ন হয়। তাই জেলা শাসকদেরও সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।