বাংলা হান্ট ডেস্ক: চা বাগানে লগ্নি বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিল রাজ্যের। বাগানগুলোর মোট জমির ১৫ শতাংশ জমিতে অন্য ব্যবসা করার ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। পর্যটন, পশুপালন, জলবিদ্যুৎ, সামাজিক পরিকাঠামো ও পরিষেবার মত ব্যবসা করা ছাড়পত্র মিলল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভা ‘টি ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যালায়েড বিজনেস পলিসি – ১৯’ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। সায় মিলেছে টি-বোর্ডের। লগ্নির ফলে বাগানগুলো রুগ্ন অবস্থার পরিবর্তন হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবছর উত্তরবঙ্গে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করেছেন। জানা গেছে, শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে পুলিশ কমিশনারেটের মাঠে এই অনুষ্ঠান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট মানুষজনরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি উত্তরকন্যায় একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করেন মমতা।
প্রসঙ্গত, দশমীর পর থেকে কলকাতার বহু জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী তে উপস্থিত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করেছিলেন মমতা।
এবছর উত্তরবঙ্গের বিজয়া সম্মিলনীতে প্রথমবার যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সম্মেলনীর এই অনুষ্ঠান শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি দুই জেলাকে নিয়েই হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই দুই জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষদের, বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান আরো জমজমাট করতেই এই আয়োজন করা হয়।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মমতার এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, জনসংযোগের কারণে এবারে উত্তরবঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী করার উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী কে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহলের এক অংশ।