বিশ্বকাপ ফাইনালে রোহিতদের খেলা দেখতে বাধা, ছেলের গলায় ফাঁস দিলো বাবা! মৃত পুত্র

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয়দের কাছে ক্রিকেটটা একটা আবেগ সকলেই জানেন। ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) ক্রিকেটারদের সকলকে নায়কের সম্মান দিয়ে থাকে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাই বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup) ফাইনালে যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) মাঠে নেমে রোহিত শর্মার দলকে হারতে হয়, তখন মন ভাঙে গোটা ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় সেই ম্যাচের উত্তেজনা একজন বাবা তার নিজের ছেলেকে খুন করবে তাহলে আপনি কি বিশ্বাস করতে পারবেন!

indian cricket team worried

বাবার হাতে খুন ছেলে:

হ্যাঁ, এবার ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। ৫০ বছর বয়সী বাবা, নিজের হাতে গলায় ফাঁস দিয়ে ২৪ বছর বয়স্ক ছেলেকে খুন করেছেন বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখায় বিঘ্ন সৃষ্টি করায়। যে সময়ে রোহিত শর্মারা মরিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ উইকেটটি তোলার চেষ্টা করছেন, ঠিক সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটেছে কানপুরে।

টিভি বন্ধ করে বাবাকে ফাইনাল দেখতে বাধা:

দীপক নিশাদ, যিনি পেশায় একজন কাঠের মিস্ত্রি এবং তিনি নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপান করার বদভ্যাস রয়েছে তার। এই স্বভাবের জন্য বিয়ে হলেও বিয়ের পর তার স্ত্রী তার সঙ্গ ত্যাগ করে। সেদিন তার নিয়মিত কাজের পর মদ্যপান করেই বাড়িতে ফিরেছিলেন দীপক। বাড়ি ফিরে দেখেন তার মা সেখানে অনুপস্থিত এবং বাবা এক মনে খেলা দেখছেন। সেই সময় তিনি প্রথমে বাবাকে খাওয়ার প্রস্তুত করার আদেশ দেন। খুব সম্ভবত গাঁজার নেশায় বুদ তার বাবা গণেশ নিশাদ সেই আদেশে কর্ণপাত করেননি। ফলে মেয়েরা ছাড়িয়ে টিভি বন্ধ করে দেয় দীপক।

আরও পড়ুন: ভারত সেরা দল ছিল না! বিশ্বকাপ শেষ হতেই রোহিত, কোহলিদের নিয়ে বোমা ফাটালেন গৌতম গম্ভীর

মোবাইলের চার্জার দিয়ে গলায় ফাঁস:

এর আগেও নেশার ঘোরে পিতা পুত্রের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ছেলের আচমকা এমন আচরণে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গণেশ। এরপর দুজনের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি তারপর হাতাহাতি শুরু হয়। মদের নেশায় সম্পূর্ণ বেসামাল দীপককে মেঝেতে চেপে ধরতে অসুবিধা হয়নি তার বাবা গণেশের। রাগে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে মোবাইলের চার্জার দিয়ে গলা জড়িয়ে ছেলের শ্বাসরোধ করেন গণেশ।

আরও পড়ুন: ধোনির টিপস কাজে লাগিয়েই আজ ভয়ঙ্কর ফিনিশার রিঙ্কু! কি পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল?

ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ:

গণেশের যখন হুঁশ ফিরে আসে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মদের নেশা এবং গলায় অসহনীয় চাপের কারণে প্রাণ হারিয়ে ফেলেছে তার ছেলে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কানপুর পুলিশ। ঘটনার পরের দিন এক আত্মীয় সিঁড়িতে দীপকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ময়নাতদন্ত করে এই খুনের পেছনে কোনও গভীর অভিসন্ধি আছে কিনা তা ধরার চেষ্টা করছে।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর