মানিকের নামে জোড়া বৈধ পাসপোর্ট! শুনে ‘ছি ছি’ করে উঠলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে ধুন্ধুমার দশা বঙ্গে। একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) নামে দুখানা বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে বলে আদালতে জানাল সিবিআই (CBI)। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে এমন তথ্যেই শোরগোল। এই শুনে বিস্মিত হয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, এটা কী করে সম্ভব? তাঁর মন্তব্য, ‘ছি ছি ছি ছি! এটা কী হচ্ছে!’

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন যাবৎ জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বুধবার আদালতে সিবিআই জানায়, হেফাজতে থাকা একজন প্রভাবশালীরব্যক্তির দুখানা বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। সেই শুনে বিচারপতি তাদের প্রশ্ন করেন, কার পাসপোর্ট? মানিক ভট্টাচার্যের? জবাবে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, ‘হ্যাঁ, মানিক ভট্টাচার্যের’। এই শুনেই বেজায় বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ‘এটা কী করে সম্ভব? ছি ছি ছি ছি! এটা কী হচ্ছে!’ এমনটাই মন্তব্য করলেন তিনি।

এরপর, সমস্ত কথা শুনে বিচারপতি সিবিআইকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য কতবার লন্ডনে গিয়েছেন? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন?’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি, শুনবেন? লন্ডনে তার বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন ? আমি জানি।’ এদিন আদালতে সিবিআই তরফে জানানো হয়, তারা ইতিমধ্যেই কিছু এসএমএস উদ্ধার করেছেন। পাশাপাশি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যর কাছ থেকে কিছু সূত্রও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে এদিন আদালতে জানায় সিবিআই।

high court

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সিবিআই এর তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সিটের থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এদিন উদ্ধার করা তথ্য এসএমএস বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করা পর্যন্ত সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ স্থগিত রাখার নির্দেশ জানান। কিন্তু, নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল বিচারপতি। এদিন তিনি স্পষ্ট বলেন নির্দেশে কোনও পরিবর্তন করা হবে না।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর