তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা, বিক্ষুব্ধ নেতাদের সাথে বৈঠক সারলেন শুভেন্দু অধিকারী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ রাজনীতি বলুন, আর সংবাদমাধ্যম- বেশ কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (shuvendu adhikari)। রাজ্য সরকারের মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে, সমস্ত নিরাপত্তা ত্যাগ করে, এবার বাকি থাকা বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই হেভি ওয়েট নেতা। ইস্তফা পত্র জমা দিয়েই বুধবার সন্ধ্যেয় গিয়ে বৈঠক করলেন কাঁকসায় বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে।

বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
পূর্বেই ছেড়েছেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীত্ব পদ, সেইসঙ্গে ছেড়েছিলেন অন্যান্য সকল দায়িত্বও। ত্যাগ করেছিলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও। জল্পনার শীর্ষে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জলঘোলা আরও বেড়েই চলেছে। দল বদলের জল্পনাও ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই বুধবার বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই দলবদলের জল্পনা আরও জোরালো ভাবে দানা বাঁধতে শুরু করে।

f fbkm

বৈঠক করলেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে
এদিন ইস্তফা দিয়েই সোজা রওনা হয়ে যান বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে বৈঠক করেন একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন সেখানে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান, আসানসোলের প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, শালতোড়ার স্বপন বাউড়ি, তৃণমূল নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি, গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিতাই চট্টোপাধ্যায়সহ বেশ কয়েকজন।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংসদ সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দুর সঙ্গে আমরা কথা হয়েছে। দলত্যাগ বা দলবদলের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তবে আমার ধারণা, তৃণমূলের এই ভাঙনের কারণ হল আই প্যাক সংস্থা’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর