কুরবানি নিয়ে পুলিশ নিজের ইচ্ছেমত নিয়ম চাপালে পরিণাম খারাপ হবে, হুঁশিয়ারি দেওবন্দের মৌলানার

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulema-e-Hind) এর সভাপতি মৌলানা কারী সৈয়দ মোহম্মদ উসমান মনসুরপুরী (Maulana Qari Syed Mohammad Usman Mansoorpuri) দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে কুরবানি নিয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী মনোভাব আর অত্যাচার করার অভিযোগ নিয়ে রোষ প্রকাশ করেন। উনি বলেন, কুরবানি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যক ধার্মিক কাজ। এই কাজে যেন কোনরকম বাধা না সৃষ্টি করা হয়।

বুধবার জারি বয়ানে কারী উসমান মনসুরপুরী বলেন, জমিয়তকে লিখিত ভাবে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে যে, পুলিশ অনৈতিক ভাবে পশুদের ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছে, বাহরাইচ, গাজীপুর, গাজিয়াবাদ জেলা প্রশাসন বড় পশুদের কুরবানি নিষিদ্ধ করেছে। এরকম ভাবেই দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে কুরবানিতে বাধা সৃষ্টি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

উনি প্রশ্ন করে বলেন, কোন আইনে পুলিশ বড় পশুদের কুরবানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে? আর এসব কার ইশারায় হচ্ছে? পুলিশের দিক থেকে অত্যাচার, বর্বরতা, স্বৈরাচারী আর আইনকে নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। আর এরফলে জনতার মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। মৌলানা মনসুরপুরি পুলিশের এরকম অমানবিক অত্যাচারের কড়া নিন্দা করেছেন। এর সাথে সাথে সরকারকে পুলিশের এই অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। উনি সরকারকে আবেদন করে বলেছেন, মুসলিমরা যাতে সম্পূর্ণ সরলতার সাথে কুরবানির মতো ধার্মিক কাজ সম্পন্ন করতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করতে।

উনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব আর কুরবানি নিয়ে সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে, জনতা সেটা মাথায় রাখবে। মুসলিম নেতা আর সংস্থা গুলো এই বিষয়ে লাগাতার জনতাকে জাগ্রত করে চলেছে। নির্দেশিকায় বড় পশুদের কুরবানি নিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি নেই। যদি পুলিশ প্রশাসন কোন ধার্মিক কাজে হস্তক্ষেপ করে, আর নিজেদের মতো আইন আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে এর পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে।

X