বাংলাহান্ট ডেস্ক: খেলনা বাড়ি (Khelna Bari) সিরিয়ালটি শুরু হলেই বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় একটাই দৃশ্য। বিরাট বড় কোনো বিপদে ফেঁসে রয়েছে ইন্দ্র মিতুল। কখনো মিতুলকে মাটির মধ্যে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। কখনো বিষাক্ত সাপের কামড়ে খাইয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে ভেলায়। কখনো কুমিরের পেটে যাওয়ার জন্য জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে, আবার কখনো জীবন্ত দেওয়ালের মধ্যে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। এইসব অদ্ভূত অদ্ভূত ষড়যন্ত্রই মাথা খাটিয়ে বের করে রণজিৎ (Ranajit Lahiri)। আর প্রতিবারই তার সমস্ত চেষ্টায় এক বালতি জল ঢেলে বেঁচে ফিরে আসে ইন্দ্র মিতুল।
প্রতিবার এমন অবাস্তব সব প্ল্যানিংয়ের জন্য যেমন ট্রোল হচ্ছে খেলনা বাড়ির গল্প নিয়ে, তেমনি আবার দর্শকদের মধ্যে বিশেষ ভাবে নজর কাড়ছেন রণজিৎ ওরফে সায়ন্তন সরকার (Sayantan Sarkar)। এমনিতে তিনি রীতিমতো টল ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসাম। কিন্তু অনস্ক্রিনে তাঁর দুষ্টুমি দেখে মুখভার দর্শকদের। বাস্তবেও কি এমনি সাংঘাতিক নাকি সায়ন্তন?
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, বাস্তবটা নাকি একেবারেই উলটো। তিনি খুবই শান্ত, উঁচু স্বরে কথা পর্যন্ত বলে না। এমনকি মানুষ তাঁকে সামনাসামনি দেখলে অবাক হয়ে যান। নিজের চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী একটি চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চ্যালেঞ্জটাই লুফে নিয়েছেন সায়ন্তন।
ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন সায়ন্তন। তিনি জানান, প্রথমে তিনি শখ করে মডেলিং শুরু করেছিলেন। তারপর অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হন নান্দীকারে। তাঁর প্রথম সিরিয়াল ‘ঠিক যেন লভস্টোরি’। এখানে নায়কের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
ওই সিরিয়ালটা করতে করতেই হঠাৎ এক নামী বিমান সংস্থার কেবিন ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন সায়ন্তন। কিন্তু আড়াই বছর পর মোটা মাইনের লোভ ছেড়ে আবার ফিরে আসেন এই অনিশ্চয়তার জগতে। এবারে বড়পর্দায় ‘টোটাল দাদাগিরি’ ছবিতে যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি।
তারপরে আবারো ফেরেন সিরিয়ালে। তবে সায়ন্তন বলেন, তিনি যাই করেছেন সবেতেই পরিবারের সমর্থন পেয়েছিলেন। সিরিয়ালে তো প্রথমে সিমিকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করলেও এখন খলনায়িকা অনামিকার সঙ্গে প্রেম করতে দেখা যাচ্ছে রণজিৎকে। বাস্তবেও কিন্তু সায়ন্তন সিঙ্গেল নন। নিজেই জানালেন, অনেকদিন ধরেই একটি সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। যদিও প্রেমিকার পরিচয় ফাঁস করতে রাজি হননি রণজিৎ।