বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে ৭৫টা বছর। তারপর ক্রমশ উন্নতির দিকে এগিয়ে গিয়েছে দেশ। উন্নতির দিকে এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেলও (Indian Railways)। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কে পরিণত করেছে সে নিজেকে। আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি কোনাই রেলপথ দ্বারা সংযুক্ত। ট্রেনে করেই ছুটে বেড়ানো যায় দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। একইসঙ্গে আজ ভারতের অধিকাংশ জায়গাতেই বৈদ্যুতিক ট্রেন চলতে পারে। আর ভরসা করে থাকতে হয় না ডিজেল ইঞ্জিনের উপর।
এরই মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতবাসীর জন্য আরও একটি সুখবর দিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। উত্তর-পূর্বে রেল লাইনের বিদ্যুতিকরণ চলছে জোরকদমে। এরই মধ্যে মেঘালয়ে প্রথমবারের জন্য চাকা গড়াল বৈদ্যুতিক ট্রেনের। এই প্রথমবারের জন্য মেঘালয়বাসী তাঁদের রাজ্যে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দেখল। দুধনাই ও মেন্দিপাথারের মধ্যে ২২.৮ কিলোমিটার সিঙ্গল লাইন সেকশনের বিদ্যুতিকরণ হয়েছে। পাশাপাশি অভয়পুরী এবং পঞ্চরত্নের মধ্যে একটি ৩৪.৫ কিলোমিটার ডবল লাইনেরও বিদ্যুতিকরণ হয়েছে।
এই রুটগুলিতেই এ বার থেকে ছুটবে ইলেকট্রিক ট্রেন। এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে রেল। সেখানে তারা জানিয়েছে যে বর্তমানে মেন্দিপাথার হল মেঘালয়ের একমাত্র রেল স্টেশন যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনের পর ২০১৪ সাল থেকে চালু রয়েছে। বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন চালু হওয়ার পর ইলেকট্রিক লোকোমোটিভগুলি এ বার থেকে গতি বাড়িয়ে মেন্দিপাথার থেকে সরাসরি চলতে সক্ষম হবে। এর ফলে এই রুটে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে রেল।
Electric Train for the first time in Meghalaya. pic.twitter.com/H4hrdBa4SV
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) March 17, 2023
রেল তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এ বার থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় এই ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালানো যাবে। ট্রেনের গতি বাড়লে সময়সূচী মেনেও চলতে পারবে সেগুলি। এর ফলে দেরি কম হবে এবং সঠিক সময়েই সঠিক স্টেশনে পৌঁছতে পারবে ট্রেনগুলি। এছাড়াও এ বার থেকে অন্য রাজ্য থেকে আগত মালগাড়িগুলি ইঞ্জিন না বদলে সরাসরি মেঘালয়ে পৌঁছে যেতে পারবে। এর ফলে অনেক সুবিধাই হবে রাজ্যবাসীর।’
প্রসঙ্গত, লাইনের বিদ্যুতিকরণ হওয়ার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। একইসঙ্গে ইলেকট্রিক ট্রেন চললে দূষণও কম হবে। কারণ ডিজেল ইঞ্জিনের ধোঁয়া থেকে আগে প্রচুর পরিমাণে বায়ুদূষণ ছড়াত। শুধু তাই নয়, ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের গতি অনেক বেশি। ফলে ট্রেনের দেরি হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে। অনেক সময় বাঁচবে যাত্রীদের ও রেলের।