চাকরি খুইয়েছেন ভাই, রেগে গিয়ে SSC-কেই ধুয়ে দিলেন মন্ত্রী দাদা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে চাকরি চলে গিয়েছে ভাইয়ের। তবুও, ভাইয়ের পাশ থেকে এক চুলও সরেন নি দাদা শ্রীকান্ত মাহাত (Minister Srinkanta Mahata)। শুধু তাই নয়, চাকরিহারা ভাইয়ের সমর্থনে এবার এসএসসিকেই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। একই সাথে, ওএমআর সিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবিও উঠে এসেছে শ্রীকান্ত মাহাতের কথায়।

শনিবার মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে ভাইয়ের পক্ষ নেওয়ায় বিষয়টি স্পষ্ট করলেন তিনি। শ্রীকান্ত মাহাত বললেন, “ভাই ওই নম্বর কোনও ভাবেই পাবে না। হার্ড কপি মিলিয়ে দেখা হোক। এসএসসির ত্রুটি বিচ্যুতির শিকার হয়েছে ও। এসএসসি তো সেই সময় নম্বরের তালিকা প্রকাশ করতে পারত। তাহলে চ্যালেঞ্জ করতে পারত অনেকেই।”

পাশাপাশি তৃণমূলের এই মন্ত্রীর কথায়, “নম্বর গোপন রেখে কোয়ালিফাই করে দিল, তারপর ইন্টারভিউ ডেকে দিল, চাকরি দিয়ে দিল, তার পাঁচ বছর পর বলছে কি তোমার নম্বর ভুল। দুরকম কথাবার্তা হচ্ছে না?” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরির (job) ক্ষেত্রে ওএমআর সিটে জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই যারা যারা চাকরি খুইয়েছেন সেই তালিকায় নাম রয়েছে শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর।

কোনরকম যোগ্যতা ছাড়াই শুধুমাত্র মন্ত্রী ভাই হওয়ার জন্য যখন খোকন মাহাতো চাকরি পেয়েছেন বলে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ঠিক তখনই ভাইয়ের সমর্থনে এসএসসিকেই দুষলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত। পাশাপাশি, চাকরির পাঁচ বছর পর কেন তালিকা প্রকাশ করা হল সেই নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু তাই নয়, পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁরা উচ্চ আদালতে উত্তরপত্র যাচাই করার জন্য মামলা করবেন বলেও উল্লেখ করেন।

Srikanta

তিনি বলেন “এখন আদালতের নির্দেশে ওএমআর সিট প্রকাশ করা হল। তাতেই দেখা যাচ্ছে কারও কারওটা সত্যিই ফাঁকা। এটা কেমন ধরনের চেকিং লিস্ট! অনেকেই তো রাজনীতির শিকার হল।” রাজ্যের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী হওয়ার পরেও এসএসসির বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। এখন, সব মিলিয়ে জনসাধারণের প্রতিনিধি হিসেবে কী করে তিনি পরিস্থিতি সামলান সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর