বাংলা হান্ট ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিয়ার ( Ibrahim Mohamed Solih) বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এমনকি, তিনি এটাও বলেছেন যে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিয়া একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে কাজ করতেন। তবে মুইজ্জু কোনো দেশের নাম বা কোনো কূটনীতিকের নাম নেননি।
মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু পাবলিক সার্ভিস মিডিয়া (পিএসএম)-র সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময়ে তুরস্ক থেকে সামরিক ড্রোন কেনার প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানান যে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মলদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে, ওই দলটি মালদ্বীপের স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় এবং তারা এটি একটি বিদেশের হাতে ছেড়ে দেয়। ইব্রাহিম সোলিহ একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে কাজ করেছিলেন। যার ফলে দেশটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাশাপাশি, মুইজ্জু আরও বলেন যে, “আর্থিক দিক থেকে শুরু করে সবদিক দিয়েই আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছি। এত কিছুর পরও তারা এই সব সমাধান করার জন্য এবং মলদ্বীপের জনগণ যে পথে দেশকে ফিরিয়ে আনতে চায় তা মেনে নেবে না।”
আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল থেকেই গাড়ি কিনতে গেলে পকেটে পড়বে টান! কতটা বাড়বে দাম? জানিয়ে দিল সংস্থাগুলি
তুরস্ক থেকে কেনা হয়েছে ড্রোন: সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মলদ্বীপ তার বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চলে টহল দেওয়ার জন্য মার্চের শুরুতে তুরস্ক থেকে নজরদারি ড্রোন কিনেছে এবং ড্রোনগুলি পরিচালনা করার জন্য একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এদিকে, গত জানুয়ারিতে চিন থেকে ফিরে আসার পর তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সরকার নজরদারি ড্রোন কেনার কথা ভাবছে।
আরও পড়ুন: শ্রেয়স, ঈশান অতীত! এবার বোর্ডের তোপের মুখে টিম ইন্ডিয়ার এই ক্রিকেটার, মিলবে কড়া শাস্তি
“মলদ্বীপের স্বাধীনতা অমূল্য”: এদিকে, এই ড্রোনের দাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, মুইজ্জু জানান যে তিনি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করেন। তবে কোনো দেশেরই এই ধরণের সামরিক গোপনীয়তা প্রকাশ করা উচিত নয়। তাঁর মতে, “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে, আমি আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান এবং আমাদের জেনারেলদের পরামর্শের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করি। তাই আমি তাঁদের উপদেশ অনুসরণ করব এবং তাঁদের কথা শুনব।” রাষ্ট্রপতি আরও বলেন যে মলদ্বীপের স্বাধীনতার ওপর কোনো মূল্য রাখা যাবে না এবং এটি প্রকৃতপক্ষে “অমূল্য”।