বাংলা হান্ট ডেস্ক: ISL ট্রফিকেই এবার পাখির চোখ করছে মোহনবাগান এসজি (Mohun Bagan Super Giant)। এদিকে, আগামী মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে চলেছে সেমিফাইনাল পর্ব। এমতাবস্থায়, ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান। তবে, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে লিস্টন কোলাসোর সঙ্গে সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেজর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা থাকলেও সবাইকে চমকে দিয়ে উপস্থিত হলেন হাবাস।
এর পাশাপাশি নিজের অসুস্থতার প্রসঙ্গে জল্পনার অবসানও ঘটালেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই সেমিফাইনাল পর্বে মাঠে নামার আগে সবুজ মেরুন শিবিরে মিলেছে বড় স্বস্তি। মোহনবাগান এসজির “প্রধান শিক্ষক” হাবাস রবিবার সাহাল আব্দুল সামাদকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এদিকে, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পাওয়া সামাদ তারপর থেকে আর মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি। তবে এবার ওড়িশার বিরুদ্ধে সামাদকে রেখেই দল সাজাবেন হাবাস।
জানিয়ে রাখি যে, চলতি মরশুমে ISL-এ ওড়িশার বিরুদ্ধে দুই বারের মুখোমুখিতে আটকে গিয়েছিল মোহনবাগান। প্রথম পর্বের ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হয় এবং দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ গোলশূন্যভাবে ড্র হয়েছিল। তবে, ওড়িশার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে হাবাস অতীতের কথা ভুলে সামনে তাকানোর বার্তা দিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, “ওড়িশা এফসি শক্তিশালী দল এবং ওদের ভালো ফুটবলারও দলে আছে। কিন্তু আমরা অতীত মনে রাখতে চাই না। আগামী ম্যাচে আমরা জয়ের পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবো। আমাদের অস্ত্র পাসিং ফুটবল।”
আরও পড়ুন: Tesla-কে টক্কর, ভারতের রাস্তায় চালক ছাড়াই চলছে Bolero! দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্বয়ং আনন্দ মাহিন্দ্রার
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “অ্যাওয়ে ম্যাচটিতে ড্র নয়, বরং, আমরা জয়ের জন্যই লড়াই করবো। কারণ প্রথম পর্বের ম্যাচে জয় পেলে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে থেকে আমরা মাঠে নামতে পারবো।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময় পূর্ব ভারত জুড়ে রয়েছে প্রচন্ড গরম। এরমধ্যে ম্যাচ খেলার বিষয়টা ঠিক কতটা কঠিন এই প্রশ্নের উত্তরে হাবাস জানান, “পরিস্থিতি আমাদের জন্য যেমন তেমনই আমাদের প্রতিপক্ষের জন্যও একই। তবে ফুটবলাররা পেশাদার হওয়ায় তাঁরা যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গেই মানিয়ে নিতে সক্ষম।”
আরও পড়ুন: হুশ করে পৌঁছে যান সিকিম! ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে রেল প্রোজেক্ট, বাকি শুধু এতটুকু কাজ
এর পাশাপাশি অনেকক্ষেত্রে লিগ শিল্ড জয়ের পরই যেখানে দলের মধ্যে আত্মতুষ্টির জায়গা চলে আসে সেখানে দলের প্রতি কিভাবে নজর রাখা হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে হাবাস স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, “আমাদের লক্ষ্য যাতে কোনওভাবে নষ্ট হয় তার জন্য আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। এছাড়াও, অনুশীলনে সময়ে ফুটবলারদের মানসিকভাবে তরতাজা রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ আমাদের লক্ষ্য এখনও পূরণ হওয়া বাকি আছে।”