মা পেট্রোল পাম্পে কর্মরত! খাতা,পেন নিয়ে সেখানেই পড়াশোনা চলছে মেয়ের, এ যেন এক ভিন্ন ছবি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজকাল বহু পেট্রোল পাম্পেই (Petrol Pump) দেখা মেলে মহিলা কর্মীর। শহর ছাড়িয়ে গ্রাম ও মফস্বলের পেট্রোল পাম্পগুলিতেও মহিলা কর্মচারীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। অনেক সময় দেখা যায় এই মহিলা কর্মচারীরা তাদের সন্তানদের সাথে করে নিয়ে আসেন পাম্পে। সেখানেই দিনের অধিকাংশ সময় কাটে ছোট্ট শিশুগুলির।

বাঁকুড়ার (Bankura) গোবিন্দনগরের একটি পেট্রল পাম্পে সম্প্রতি এক মহিলা কর্মচারী ও তার ছোট্ট কন্যার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। জানা গেছে ওই পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীটির নাম টুম্পা সিংহ। সেই ছবিতে টুম্পার ছোট কন্যাকেও দেখা যাচ্ছে খাতা-পেন্সিল হাতে। কাজের ফাঁকে টুম্পা কথা বলছেন তার মেয়ের সাথে।

আরোও পড়ুন : চলবে রেল লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল! নিবেদিতা সেতু নিয়ে নয়া আপডেট

সূত্রের খবর, টুম্পার শ্বশুরবাড়ি সিউড়িতে। তবে কন্যা আয়োসিকে নিয়ে বর্তমানে তিনি রয়েছেন তার বাপের বাড়ি বাঁকুড়ার খেজুরবেদ্যায়। আয়োসি খেজুরবেদ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। কিছুদিন হল টুম্পার বাবা-মা বাইরে গেছেন। বাড়ি ফাঁকা। তাই মেয়েকে নিয়ে পেট্রোল পাম্পে চলে আসছেন টুম্পা।

আরোও পড়ুন : ফের চলন্ত ট্রেনে ধোঁয়া! রাঁচি-হাওড়াগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে আগুন-আতঙ্ক

পাম্পের কর্ণধার নিবেদিতা বিশ্বাস জানিয়েছেন,  ‘‘মা কাজ করছেন, পাশে মেয়ে পড়াশোনা করছে। কাজের ফাঁকে মা মেয়ের উপরে নজরও রাখছেন। দৃশ্যটা সত্যিই মনে দাগ কেটেছিল। আমার ছেলে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায়।’’

টুম্পা জানিয়েছেন, ‘‘বাবার মুদিখানা দোকান রয়েছে। কিন্তু মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে রোজগারের টানেই আমি এই কাজ নিয়েছি। বাড়িতে আমি না থাকলে মা-বাবাই মেয়ের দেখাশোনা করে। কিন্তু তাঁরা না থাকলে মেয়েকে তো একা বাড়িতে রেখে আসতে পারি না। তাই ক’টি দিনের জন্য ওকে নিয়ে এসেছিলাম।’’

petrol pump scooty

কর্মস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে টুম্পার বাপের বাড়ি। প্রতিদিন বাসে করেই চলে যাতায়াত। টুম্পার এক সহকর্মী বলছেন,‘‘খুবই লড়াকু মানসিকতার মেয়ে টুম্পা। কাজেও খুব দায়িত্বশীল। যাঁরা ভাবেন পেট্রল পাম্পের কাজে মেয়েরা মানিয়ে নিতে পারেন না, টুম্পা তাঁদের ভুল প্রমাণ করেছেন।’’

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর