মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে ICU-তেই বিয়ে সারলেন মেয়ে, ভাইরাল ভিডিও মন কাড়ল নেটিজেনদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে মাঝেমধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা রীতিমতো সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ওইসব ঘটনা কার্যত মন খারাপ করে দেয় সকলের। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। মূলত, সম্প্রতি বিহারের (Bihar) গয়ায় এক দম্পতি নতুন জীবনে প্রবেশ করলেও জীবনের গতিপথ থেমে গেল কনের মায়ের। যদিও, মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থেকে মেয়ের বিয়ে পরিলক্ষিত করে তাঁদের আশীর্বাদ করলেন তিনি। আর তারপরেই তিনি পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।

এদিকে, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। যেটি দেখে আবেগে ভাসছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ করার পরই দু’ঘন্টা পর মারা যান ওই মহিলা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে অবস্থিত আরশ হাসপাতালে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। গুরারু ব্লকের বালি গ্রামের বাসিন্দা লালন কুমারের স্ত্রী পুনম কুমারী ভার্মা বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এমতাবস্থায়, তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

   

চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন: এদিকে, পুনমকে ভর্তি করার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। এমনকি যেকোনো সময় মৃত্যু ঘটতে পারে তাঁর। এমতাবস্থায় পুনম জানান যে, জীবিত অবস্থাতেই তিনি তাঁর মেয়ে চাঁদনী কুমারীর বিয়েটি দেখতে চান। আর তাঁর ওই ইচ্ছেপুরণেই হাসপাতালের ICU-তেই সম্পন্ন হয় বিয়ে।

বাগদান ঠিক হয়েছিল মাত্র ২৬ ডিসেম্বর: এই প্রসঙ্গে তাঁর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, চাঁদনীর বাগদান হওয়ার কথা ছিল ২৬ ডিসেম্বর। কিন্তু পুনমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালেই চাঁদনীর বিয়ে সম্পন্ন হয় সালেমপুর গ্রামের সুমিত গৌরবের সঙ্গে। যদিও, বিয়ের মাত্র ঘন্টা দু’য়েক পরই মারা যান চাঁদনীর মা পুনম।

যৌতুক ছাড়াই সম্পন্ন হয় বিয়ে: জানা গিয়েছে, পুনমের সামনে হাসপাতালেই বিয়ে করেন ওই দম্পতি। বর সুমিত গৌরবের মামা অজিত কুমার লোহিয়া বর-কনেকে শপথপত্র পাঠ করিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যৌতুক ছাড়াই সম্পন্ন হয় এই বিয়ে।

কি জানালেন কনে: এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, চাঁদনী কুমারী জানান, তাঁর মা পুনম কুমারী ভার্মা মগধ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এএনএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এমতাবস্থায়, করোনার সময় থেকে ক্রমাগত অসুস্থ ছিলেন তিনি। পাশাপাশি, হৃদরোগেও ভুগছিলেন পুনম। মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতেই হাসপাতালে বিয়ে করেন তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর