মুকুলের ছেড়ে যাওয়া আসন এখনও ফাঁকা তৃণমূলে, কার জন্য অপেক্ষা! জল্পনা দলেরই অন্দরে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে আবারও বাংলার ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর আজই প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকে বসছে তৃণমূল (tmfc) শিবির। দুপুর ২ টোয় প্রথমে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে ১৮ জনকে নিয়ে, আর তারপর সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক হবে ৩ টে থেকে।

সূত্রের খবর, আজকের এই বৈঠকেই ‘দলবদলুদের’ ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। পাশাপাশি মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর, ২০১৭ সাল থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এবার সেই পদেই ‘অভিষেক’ হতে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee)।

82b1313a01843fb6263ecba05966301b 1

বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রচারের রণকৌশল তৈরি থেকে শুরু করে প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শ দাতা হিসেবে নিয়োগ- সবক্ষেত্রেই তাঁর দারুণ সাফল্য দেখা গিয়েছে। এবার ধারণা করা হচ্ছে, যুব তৃণমূল থেকে তাঁকে মাদার তৃণমূলে আনা যেতে পারে। দেওয়া হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী পাওয়ার সেন্টার মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া স্থান। কারণ বর্তমান সময়ে অভিষেকের সমতুল্য কোন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূলে।

তবে এসবের মধ্যেও একটা প্রশ্ন উঠে আসছে, যেসকল দলবদলুরা ভোটের পূর্বে সারি বেঁধে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, এখন তারাই গেরুয়া আভা ছেড়ে আবারও সবুজ আলোয় ফিরে যাওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছেন। সোনালী গুহ থেকে দীপেন্দু বিশ্বাস, মোহ ভাঙতেই আবারও মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয়ে ফিরতে চাইছেন দলবদলু নেতারা। তবে এখন প্রশ্ন একটাই- এখন কি তাঁদের ফিরিয়ে নেবে তৃণমূল?

তবে কিছুদিন আগেই সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মাস কোন দলবদলুদের ঘরে ফেরান হবে না। আবার তৃণমূলের একাংশের মত, দল ছেড়ে যারা বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা দলের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ বিদ্বেষ সমস্ত কিছু উগরে দিয়েছিলেন। তাই এখন তাঁরা আবারও দলে ফিরলে, দলের প্রতি নিষ্ঠাবান কর্মীদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। ভুল বার্তা যেতে পারে তাঁদের কাছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর