জায়গা পালটেও রেহাই নেই, এবার পুলিশি হেনস্থার মুখে মুর্শিদাবাদের নিহতদের পরিবার! অভিযোগ ঘিরে শোরগোল

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসার বলি হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের দুই পুরুষ সদস্য। জাফরাবাদে বাবা হরগোবিন্দ দাস এবং ছেলে চন্দন দাসকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই আতঙ্ক এখনো কাটেনি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে তাঁদের পরিবার সল্টলেকে এসে থাকতে শুরু করেছিল। কিন্তু এখানেও ওঠে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। দরজা ভেঙে পুলিশ হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে সল্টলেকেও থাকার পাট চুকিয়েছেন তাঁরা।

মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নিহতদের পরিবারের উপরে সল্টলেকে পুলিশ চড়াও হওয়ার অভিযোগ

যেমনটা জানা গিয়েছে, জাফরাবাদের নিহত বাবা ছেলের পরিবারের সদস্যরা সল্টলেকে এসে থাকছিলেন এক সপ্তাহ হল। কিন্তু এখানেও তাঁদের পিছু ছাড়েনি বিপদ। জানা যাচ্ছে, রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে একদল পুলিশ আসে সল্টলেকের ওই আশ্রয়স্থলে। মুর্শিদাবাদের পরিবারটির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে কথা বলতে চান।

Murshidabad dead person family harassed by police

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিজেপি প্রতিনিধি দল: পরিবারের সদস্যরা কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, এরপরেই শুরু হয় তাণ্ডব। পুলিশ জোর করে বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলে প্রবেশ করতে চায় ভেতরে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সজল ঘোষ সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল।

আরো পড়ুন : কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে অর্জুন-যোগ? তৃণমূলের ‘দলবদলু’দের মুখোশ খোলার হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের

কী বলেন বাড়ির মালিক: পুলিশের সঙ্গে বিজেপির বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এদিকে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, নিহতদের পরিবারের কোনো এক সদস্য নাকি একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই তদন্তেই এসেছিল পুলিশ। যদিও বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বেশ অনেকক্ষণ ধরেই বচসা চলে পুলিশের। এ বিষয়ে সল্টলেকের ওই বাড়ির মালিক বলেন, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবা ছেলে খুন হওয়া পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছিল বাড়িতে। কিন্তু পুলিশের যে রূপ তিনি দেখেছেন তা তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকেও হার মানাবে বলে বক্তব্য বাড়ি মালিকের।

আরও পড়ুন : পাকিস্তানের পতাকা টাঙানোর অভিযোগে গ্রেফতার, জামিন পেতেই ‘হিরো’ বনগাঁর দুই যুবক, উঠল ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

তিনি আরো দাবি করেন, দরজায় লাথি মেরে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। কোনো কাগজও ছিল না তাঁদের কাছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, যখন খুনের ঘটনা ঘটে তখন পুলিশ ঠিক সময় আসেনি আর এখন ১৫০ কিমি পেরিয়ে চলে এল! কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে সল্টলেকের আশ্রয়স্থল ছেড়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে গিয়ে উঠেছেন নিহতদের পরিবার।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X