বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার দুবাই এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে পৌঁছে যাবে নদিয়ার ফল-ফুল-শাক-সবজি। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উদ্যোগে সাক্ষরিত হল এমনই এক মউ। জাপানের সংস্থ কাওয়াসাকি সোলার ওয়্যারহাউসিং কর্পোরেশন অতি দ্রুতই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ শুরু করতে চলেছে নদিয়ার ওয়্যার হাউসের সঙ্গে। এহেন উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি এলাকার কৃষকরা।
প্রচুর পরিমাণে ফল ফুল সবজি চাষ হয় নদিয়া জেলায়। কিন্তু এই বিপুল ফলন বিড়ম্বনায় ফেলে চাষিদের। প্রচুর পরিমাণ ফুল ফল সবজি পচে যাওয়ার ভয়ে জলের দরে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন তাঁরা। সম্প্রতি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পলি হাউস নির্মাণ করে চলছে অর্কিড এবং অন্যান্য বিদেশি ফুলের চাষ। এবার এই চুক্তির মাধ্যমে এই সমস্ত ফুল-ফল-ফসলই পৌঁছে দেওয়া হবে গোটা বিশ্বে। জাপানি সংস্থার ১১ কোটি টাকার বিনিয়োগের দিকেই তাকিয়ে আপাতত আশায় বুক বাঁধছেন জেলার কৃষকরা।
এই কাজ শুরু হলে প্রত্যক্ষ ভাবে ৩০ জন এবং পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হবে। স্থানীয় যুবক সুবীর ঢালি বলেন, ‘স্থানীয় ভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হলে রুটি-রুজির টানে আমাদের আর ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিতে হবে না।’ অন্যদিকে স্থানীয় এক ফুলচাষীর কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি ছিল উৎপাদিত পণ্যের সঠিক সংরক্ষণ ও রফতানির যথাযথ ব্যবস্থার। আজ তা পূরণ হল। আশা করছি এ বার চাষ করে লাভের মুখ দেখব।’
এই ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই দুবাই ও ভারতের নামী ফুল রফতানিকারকদের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছি। যাতে এখান থেকে ওখানে সরাসরি ফুল পাঠানো সম্ভব হয়। চুক্তিতে আমাদের সঙ্গেই রয়েছে দুবাই এমিরেটস, যাদের কার্গোতে সরাসরি দুবাইয়ে পণ্য রফতানি করা হবে।’