২১ ঘণ্টার পথ চলা যাবে মাত্র ৮ ঘণ্টায়! তৈরি হচ্ছে ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম হাইওয়ে

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎসাহ তৈরি হয়েছে দেশবাসীর মধ্যে। এই এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ যানবাহনের জন্য খুলেও দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এ বার আরও একটি দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। তিনি বলেছেন যে বালাসাহেব ঠাকরে মহারাষ্ট্র সমৃদ্ধি হাইওয়ে আরও প্রসারিত করা হবে। নাগপুর থেকে গোয়া অবধি এই হাইওয়েটি প্রসারিত হবে।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নাগপুর-গোয়া হাইওয়েটি মোট ৭৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। এটিই হবে দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম হাইওয়ে। সেখানে সিন্দখেদারাজা নোড থেকে শেগাঁও অবধি চার লেনের রাস্তা তৈরি করা হবে। মহারাষ্ট্র শক্তিপীঠ এক্সপ্রেসওয়েতে পাবনার থেকে পত্রাদেবী অবধি নির্মাণ করতে ৮৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। 

nagpur goa expressway

নাগপুর-গোয়া এক্সপ্রেসওয়ে (Nagpur-Goa Expressway) মাহুর, তুলজাপুর, কোলাপুর, অম্বেজোগই শক্তিপীঠ, আউন্ধা নাগনাথ, পার্লি বৈজনাথ ইত্যাদির সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়াও এটি হিঙ্গোলি, নান্দেদ, পারভানি, বিড, লাতুর ইত্যাদি জায়গার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ৭৬০ কিলোমিটার লম্বা এই এক্সপ্রেসওয়েটি মহারাষ্ট্রের ১১টি জেলাকে যুক্ত করবে। এর ফলে অনেক সময়েও বাঁচবে।

নাগপুর থেকে গোয়া পৌঁছতে এখন সময় লাগে ২১ ঘণ্টা। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরির পর এই সময় অনেকটাই কমে আসবে। মাত্র ৮ ঘণ্টায় নাগপুর থেকে গোয়া চলে যাওয়া যাবে। নাগপুর থেকে গোয়াগামী এই এক্সপ্রেসওয়েটির নাম রাখা হয়েছে শক্তিপীঠ এক্সপ্রেসওয়ে। কারণ এই এক্সপ্রেসওয়েটি তিনটি শক্তিপীঠকে সংযুক্ত করে। মহালক্ষ্মী, তুলজাভবানী এবং পত্রদেবী শক্তিপীঠকে জুড়ে দেবে এই রাস্তা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি একটি মাল্টি-লেন নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন। যা মারাঠওয়াড়া এবং পশ্চিম মহারাষ্ট্রের মধ্যে দিয়ে যাবে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি সম্পূর্ণ হলে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা খুবই উপকৃত হবেন। গোয়ার সঙ্গে নাগপুর সংযুক্ত হলে আমদানি ও রফতানির কারবার বাড়বে। এছাড়াও তীর্থস্থানগুলি সংযুক্ত হওয়ায় পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে এই রাস্তা। একইসঙ্গে রাজ্যের অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করবে এই হাইওয়েটি।  


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর