বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইতিহাসের পাতায় সেই দিনটি হয়তো কোন কালিতে লেখা আছে কেউ জানেনা, ২০০২ সালে গোধরার কাছে সাবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঝলসে মৃত্যু হয় ৫৯ জন করসেবকের। তারপরই গুজরাটে আগুন জ্বলে উঠে।
সরকারি পরিসংখ্যান মতে, দাঙ্গায় ১ হাজার ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই মৃতদের মধ্যে ৭৯০ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। ২২৩ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের। যদিও বেসরকারি হিসেবে মৃত্যুর হিসেব ছিল ২ হাজারেরও বেশি। প্রায় আড়াই হাজার লোক গুরুতর আহত হন। এখনও নিখোঁজ প্রায় ২২৩ জন। পরিসংখ্যান নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে । এহেন হিংসার জন্য এখনও নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেন এক গোষ্ঠীর মানুষ।
বহু দিনের লড়াই কিন্তু তাদের দাবি এবার উড়িয়ে দিলো সেই কমিশন।বহুপ্রতীক্ষিত লড়াই অবশেষে কমিশন তার বিষয়টি পরিষ্কার জানিয়ে দিল রিপোর্টে কমিশন সাফ জানিয়েছে, গোধরা পরবর্তী পরিস্থিতিতে গুজরাট জুড়ে যে দাঙ্গা শুরু হয় তা ‘পরিকল্পনা মাফিক করা হয়নি।’ ওই হিংসায় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও হাত ছিল না।
২০০৮ সালেও বিচারপতি জি টি নানাবতী ও বিচারপতি অক্ষয় মেহেতার রিপোর্টের প্রথম ভাগে সাফ বলা হয়েছিল যে ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সাবরমতি এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেবারেও ওই ঘটনায় মোদিকে বেকসুর বলে রায় দিয়েছিল কমিশন। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশেই গোধরা পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে কমিশনটি গঠন করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেইসময় নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল তা বর্তমানকালেও তার স্মৃতিতে বেড়াচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় সমস্ত কিছুই সম্ভব। এরপর যখন লাল কৃষ্ণ আডবাণী থেকে আরম্ভ করে অটল বিহারী বাজপাই।
হাত ধরে রাজনীতির রণাঙ্গনে তার নিজের ক্ষমতার প্রয়োগ করতে আরম্ভ করলেন। তখন ধীরে ধীরে পাকাপোক্ত হল তার রাজনীতির দিন। এখন তিনি ভারতের সর্বোচ্চ মসনদে বসে। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি শুধু নিজের মামলার বিষয়ে বহুবার সাংবাদিকদের বহু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু এবার সফলতার সাথে ক্লিনচিট পেয়ে বিরোধীদের মুখ চির স্তব্ধ করে দিতে পারলেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।