‘দিদি ও দিদি’র পাল্টা দিতে প্রস্তুত ‘দাদা ও দাদা’ শ্লোগান! প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঢুকলেই হাঁক দেবে তৃণমূল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘দিদি ও দিদি’র পাল্টা দিতে ‘দাদা ও দাদা’ শ্লোগান প্রস্তুত করছে তৃণমূল (tmc) বাহিনী। বাদল অধিবেশনে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল সদস্যরা ‘দাদা ও দাদা’ আওয়াজ তুলতে প্রস্তুত। এমনটাই শোনা যাচ্ছে সবুজ শিবিরের অন্দরে কান পাতলেই।

আগামী ১৯ শে জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদে বাদল অধিবেশন। আর এই বাদল অধিবেশনেই ‘স্ট্র্যাটেজিতে’ সামান্য বদল আনতে চলেছে তৃণমূল শিবির। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে, ‘দিদি ও দিদি’র পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তত সবুজ বাহিনী।

bjp vs tmc

এই নতুন ‘স্ট্র্যাটেজি’র বিষয়ে এক তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, ‘রাজনীতির আসরে দাঁড়িয়ে সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের অবস্থান ভুলে গিয়ে, নির্বাচনের পূর্বে ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা আক্রমণ করেছিলেন। রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে একজন জোকারের মত ‘দিদি ও দিদি’ শ্লোগান তুলেছিলেন। হাততালি পেলেও, বাংলার মানুষ কিন্তু এই বিষয়টাকে একদমই ভালো ভাবে নেয়নি। সংসদে দাঁড়িয়ে সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব পেতেই হবে ওনাকে’।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বাংলায় একাধিক সভা সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দিকে তোপ দেগে নানারকম মন্তব্য করতে দেখা গেছিল প্রধানমন্ত্রীকে। তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা আকর্ষণের বিষয় ছিল প্রধানমন্ত্রীর গলায় ‘দিদি ও দিদি’ শ্লোগান।

এই ‘দিদি ও দিদি’ শ্লোগানে ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন গেরুয়া শিবিরের সভায়। ধীরে ধীরে এই শ্লোগান স্টাইল স্টেটমেন্টে পরিণত হলেও, হাততালি কোড়ালেও, ভোট বাক্সে বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছিল- তাঁরা এই কটাক্ষ একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি। তবে সেইসময় প্রধানমন্ত্রীর এই কটাক্ষের পাল্টা জবাবে ‘মোদী ও মোদী’ শ্লোগান তোলার চিন্তা ভাবনা করলেও, স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠতে পারে ভেবে আর এগোয়নি তৃণমূল শিবির। তবে এবারে ‘দাদা ও দাদা’ শ্লোগান প্রস্তুত রেখেছে সবুজ শিবির।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর