বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিদেশ সফর থেকে ফিরেই তৃণমূলকে তোপ দাগলেন নমো। তাঁর পরিষ্কার দাবি, কয়লা, টু’জি, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারির দুর্নীতিকে আবার দেশে ফিরিয়ে আনতেই অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি একটা সময়ে যে দলগুলি একে অপরের নিন্দা করত, আজ তারাই বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) হারাতে একসঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপি (BJP) কর্মীদের ‘মেরা বুথ মজবুত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তৃণমূলের দুর্নীতি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, ‘কয়লা-গরু পাচার, সারদা, রোজভ্যালি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মতো একাধিক ক্ষেত্রে তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে। বাংলার মানুষ এই দুর্নীতি ভুলবেন না।’ তৃণমূলের (TMC) পাশাপাশি দেশের অন্য বিরোধী দলগুলিকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় রয়েছে বিরোধীদের মহাজোটও।
বক্তৃতা দেওয়ার সময়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান রাজনীতিতে ‘গ্যারান্টি’র খুব গুরুত্ব রয়েছে। তবে একটা কথা বলতে পারি, বিরোধী দলগুলি শুধুমাত্র দুর্নীতির গ্যারান্টি দিতে পারে। বিরোধী ঐক্যের বৈঠকে যে নেতাদের ছবি দেখেছি, তাঁরা প্রত্যেকেই ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন। একটা সময়ে যে দলগুলি একে অপরের নিন্দা করত, আজ বিজেপিকে আটকাতে তারা হাত মেলাচ্ছে।’
তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পালটা জবাব দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, সারদা, নারদা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীকে কোলে করে দলে নিয়েছে বিজেপি। মুকুল রায়ও এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরেও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা বিজেপিকে মানায় না। ২০২১ সালেও ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করে দিল্লি থেকে বাংলায় এসে এই কথা বলেছেন বিজেপি নেতারা। তাও বাংলার মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে, ফের রাজনৈতিক মহল সরগরম অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। গুজরাট (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার বার্তা দিয়েছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইতিমধ্যেই বহু বিজেপি (Bharatiya Janata Party) শাসিত রাজ্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে বলে খবর।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ এখনও এই নিয়ে সেভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অবশ্য বিজেপি নেতারা বরাবরই এর পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। এই আবহে আজকে ভোপালে দাঁড়িয়ে মোদির বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।