বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গল গ্রহ (Mars) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার লক্ষ্যে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) এবার বড়সড় উদ্যোগ নিতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে পাথর ও মাটির নমুনা আনতে দু’টি ছোট হেলিকপ্টার পাঠানো হবে। মূলত, ওই গ্রহে প্রেরিত পারসিভারেন্স রোভার (Perseverance Rover)-এর উন্নত কর্মক্ষমতা দ্বারা উৎসাহিত হয়ে, নাসা এই মিশনের সাথে আরও জটিলভাবে যুক্ত হতে চাইছে।
এই প্রসঙ্গে বুধবার ঘোষিত একটি পরিকল্পনার অধীনে জানা গিয়েছে যে, নাসার রোভার এখন দ্বিগুণ কাজ করবে এবং এই হেলিকপ্টারগুলিতে মঙ্গল গ্রহের নমুনা পরিবহণ করতেও সাহায্য করবে। পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, প্রায় এক দশক পরে হেলিকপ্টারগুলিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।
জানিয়ে রাখি যে, পারসিভারেন্স রোভার ইতিমধ্যেই ১১ টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। যদিও, নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেটি আরও খননকার্য সম্পন্ন করবে। এই প্রসঙ্গে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রধান বিজ্ঞানী তথা মঙ্গল মিশনের সাথে যুক্ত থাকা মীনাক্ষী ওয়াধওয়া জানিয়েছেন যে, রোভারটি মঙ্গলে প্রাচীন জীবনের সম্ভাব্য প্রমাণ খুঁজে পেতে একটি পাললিক পাথরের নমুনাও সংগ্রহ করেছে।
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই রোভারটি বিভিন্ন ধরণের উপাদান সংগ্রহ করেছে। তাই নাসা এটি ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। এমনকি, যদি কোনোভাবে পারসিভারেন্স রোভারটি খারাপও হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে প্রেরিত মিনি-হেলিকপ্টারগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই নমুনাগুলিকে লোড করবে। উল্লেখ্য যে, এই হেলিকপ্টারের সাথে চাকা এবং গ্রিপ হ্যান্ডও থাকবে।
মঙ্গল এবং পৃথিবীর মধ্যে বহুবার ভ্রমণ করবে: এই প্রসঙ্গে নাসার মার্স স্যাম্পল রিটার্ন প্রোগ্রামের ডিরেক্টর জেফ গ্রামলিং বলেন, সামনের রাস্তাটি অত্যন্ত সহজ। প্রতিটি হেলিকপ্টার একবারে একটি নমুনা টিউব তোলার জন্য ডিজাইন করা হবে। পাশাপাশি, সেগুলি পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মধ্যে বেশ কয়েকবার ভ্রমণও করবে।
তিনি আরও জানান, নমুনাগুলি ফিরিয়ে আনতে পারসিভারেন্স রোভারের উপর নির্ভর অবশ্যই করা যায়। তবুও একটি ব্যাকআপ সরঞ্জাম হিসাবে হেলিকপ্টারগুলিকে যুক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিশনে ইউরোপিয় মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চলেছে নাসা।