বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় চার মাস ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো তদন্তও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এসবের মাঝেই সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শিলমোহর দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission)।
শনিবার মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) তরফ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি মেনে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে একইসঙ্গে দায়ী করা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। তাঁদের অবহেলার কারণেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি।
এই বিষয়ে আগামী ৮ সপ্তাহ তথা দুই মাসের মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত রিপোর্ট ওয়েবসাইটে আপলোডের নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। এমনিতেই ভোটের আগে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বহুল চর্চা হচ্ছে। একাধিকবার এই ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। এসবের মাঝেই সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতে শিলমোহর দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুনঃ মাস্টারস্ট্রোক! প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের বিরুদ্ধে এবার লড়বেন এই প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থী
জানা যাচ্ছে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কথিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বৈষম্যের জন্য রেশন, শৌচাগার, বাড়ি বানানোয় অর্থ সাহায্য, বার্ধক্য পেনশন সহ বেশ কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সেখানকার মানুষদের ভোট দানের মতো অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
স্থানীয় মানুষকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্যের অনুরোধ করলেও তারা সেই তথ্য দেয়নি, এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে।
রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফ থেকে একগুচ্ছ সুপারিশও করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান এবং তাঁদের অভিযোগের প্রতিকার করতে হবে। জমির যারা বৈধ মালিক তাঁদের সেগুলি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যৌন হেনস্থার শিকারদের পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত থেকে শুরু করে সন্দেশখালি থানা এলাকা থেকে গায়েব মহিলাদের মামলার তদন্ত শুরু সহ একগুচ্ছ সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।