বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) আসন্ন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই নির্বাচনকে হাতিয়ার করেছে কেন্দ্র এবং বিরোধী দুই পক্ষ। একদিকে যেমন কেন্দ্রের তরফ থেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) পদপ্রার্থী করা হয়েছে আবার অপরদিকে বিরোধীদের তরফ থেকে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ যশবন্ত সিনহার( Yashwant Sinha) নাম তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উঠে পড়ে লেগেছে সকলে। তবে এর মাঝেই বাংলার একমাত্র বিধায়ক হিসেবে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত জানালেন নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট বাঁধা আইএসএফ দলের হয়ে একমাত্র বিধায়ক হন নওশাদ। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা করেছেন যে, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান করা থেকে বিরত থাকবেন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তে নেপথ্যে কারণ কি?
উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে মনোনীত করার পেছনে সিপিএমেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। তবে তা সত্ত্বেও কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন নওশাদ, সে বিষয়ে এদিন খোলসা করেন তিনি। আইএসএফ বিধায়ক জানান, “গুজরাটের হিংসার কথা আমাদের সকলের মনে আছে। সেই সময় নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। এই কথাটি আশা করি কেউ ভুলে যাননি। সেই কারণে তাঁকে সমর্থন করবো না। অপরদিকে বিজেপিকেও সমর্থনের কোনওরকম প্রশ্ন ওঠেনা। আমার মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর পাশাপাশি যশবন্ত সিনহাও বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। ফলে যখন কাউকে সমর্থন করিনি, তখন ভোট দেওয়ারও কোন মানে নেই।”
এমনকি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীদের বিধানসভায় আসার সময়কালে সেখানে উপস্থিত না থাকার কথাও জানান তিনি । যদিও বর্তমানে তৃণমূল কিংবা বিজেপি কোন দলই নওশাদের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপি তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মু জয় পাবেন। এক্ষেত্রে কে ভোট দিল আর না দিলো, যায় আসে না।” অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও বিশেষ কোন মন্তব্য প্রকাশ করেনি।