বাংলাহান্ট ডেস্ক : বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও আইএসএফ গত বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করে একযোগে লড়াই করেছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই গঠিত হয় এই নতুন দল আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন নতুন এই দল গঠনে।
ভোটের আগে আব্বাস সিদ্দিকীর বিভিন্ন ভাষণ তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে সেই ভাষণের প্রভাব খুব একটা পড়েনি ব্যালট বাক্সে। নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চা জয়লাভ করে মাত্র একটি আসনে। আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই নওশাদ সিদ্দিকি জয়ী হয়েছিলেন ভাঙর কেন্দ্র থেকে।
মোর্চার দুই সদস্য বাম ও কংগ্রেসের ঝুলি শূন্যই থাকে। তবে আব্বাস সিদ্দিকীকে বিধানসভা নির্বাচনের পর খুব একটা প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়নি আব্বাস সিদ্দিকীর ‘পুরনো দাপট।’ বলা যেতে পারে রাজনীতির ময়দান থেকে খানিকটা গা বাঁচিয়ে চলেছেন তিনি।
আরোও পড়ুন : প্রকাশ্যে এল ‘রাজ্য শিক্ষানীতি’র নয়া বিজ্ঞপ্তি! একনজরে দেখুন কী কী বদল স্কুল,কলেজে
বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী? পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে কি তাকে ফের দেখা যাবে ভোটের ময়দানে? সেই প্রশ্নের জবাবই এবার দিলেন তার ভাই নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদ বলেছেন তার দাদাকে ফের দেখা যেতে পারে ভোট প্রচারের ময়দানে। তবে আব্বাস সিদ্দিকী ফের ময়দানে নামবেনই এমন কথাও জোর দিয়ে বলতে পারছেন না ভাই নওশাদ।
আরোও পড়ুন : আকাশে ঘন কালো মেঘ! একটু পরেই দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, আবহাওয়ার আপডেট
সাংবাদিকদের নওশাদ জানিয়েছেন, “আমার দাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা। আমাদের দ্বারা কিছু হচ্ছে কিনা সেটা তিনি দেখছেন। আমরা যদি পরবর্তী প্রজন্মের নেতা তৈরি করতে না পারি, তাহলে অবশ্যই তাকে দেখতে পাবেন। দল তৈরি করে তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছি এবং আমাদের ভয় পাচ্ছে শাসক দল।”
অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হঠাতে বিরোধীরা তৈরি করেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তৃণমূলের সাথে সেই জোটে যোগদান করেছে সিপিএম-কংগ্রেস। কিন্তু আইএসএফ যোগ দেয়নি ‘ইন্ডিয়া’ জোটে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেছেন, “এখানে তৃণমূল থাকলে আমি যাব না। আগেও যাইনি, এখনো যাব না। ভেবে দেখব তৃণমূল না থাকলে।”