বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা বাংলা জুড়ে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress), আবার অপরদিকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে ক্রমাগত দেওয়ালে পিঠ থেকে চলেছে শাসকদলের। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি সামনে এসেছে। সেই ধারা বজায় রেখে এবার পানিহাটিতে (Panihati) দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্ব থেকে হাতাহাতির পরিস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা এলাকা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ৪ জন। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি পুরসভা অন্তর্গত (২০ নম্বর ওয়ার্ড) মহেন্দ্রনগর এলাকা। সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধ্যের দিকে এলাকায় একটি পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে টুলু রাণী দাস এবং স্বপন কুন্ডু নামে দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে বচসা সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। উক্ত ঘটনাi ইতিমধ্যে চারজন আহত হয়েছেন বলে খবর।
অভিযোগ, এলাকার দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব এবং গতকাল সেই দ্বন্দ্ব অবশেষে হাতাহাতির রূপ নেয়। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অতীতে পানিহাটি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নিযুক্ত ছিলেন টুলু রাণী দাস। তবে পরবর্তীতে সেই স্থানে নিয়ে আসা হয় স্বপন কুন্ডুকে এবং অপরদিকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা সংরক্ষিত আসনে জয়লাভ করেন টুলুদেবী।
এক্ষেত্রে পাশাপাশি দুই ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মধ্যে বহুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পরবর্তীতে গতকাল সন্ধ্যের দিকে এলাকায় একটি পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন চার জন ব্যক্তি। পরবর্তীতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গোটা ঘটনার প্রসঙ্গে স্বপনবাবু বলেন, ” দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আমি পার্টি অফিস খুলতে পারছিলাম না। সেই কারণে মানুষের নিকট সঠিকভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল সেই সূত্রেই ঝামেলা বাঁধে। এর আগে টুলু রাণী এবং তার লোকজন মিলে আমার অফিস পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে।”
যদিও অপরদিকে স্বপনবাবুর এহেন অভিযোগ অস্বীকার করে টুলুদেবীর দাবি, “স্বপন এবং ওর লোকজনেরা আমাদের উপর হামলা চালায়।” তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের ফায়দা যে ভারতীয় জনতা পার্টি তুলবে, তা বলা বাহুল্য।