বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রাচীন কালে পৃথিবীতে এমন অনেক দার্শনিক বিরাজ করতেন যাঁরা বিভিন্ন সময়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আগামী দিনে কেমন দেখতে হবে বিশ্বকে? কী কী ঘটনা ঘটবে? যুদ্ধ হবে নাকি শান্তিতে থাকবে মানুষ? খরা, দুর্ভিক্ষ ও বিভিন্ন রোগে জর্জরিত হবেন কি পৃথিবীর মানুষ? এমনই নানা বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন তাঁরা। এই দার্শনিকদের একজন হলেন নস্ট্রাদামুস (Nostradamus)।
বিশ্বের একাধিক ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণীর সম্পূর্ণ মর্ম উদ্ধার করতে এখনও তৎপর বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে আরও একজন ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। অনেকে তাঁকে ‘নতুন নস্ট্রাদামুস’ নামে ডাকছে। এই ব্যক্তি হলেন ক্রেগ হ্যামিলটন (Craig Hamilton Parker)। বিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কয়েকটি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তিনি।
তাঁর মতে, চলতি বছরেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাবে। তিনি জানিয়েছেন, একটি বিমান দুর্ঘটনা থেকেই সূত্রপাত হবে আরও একটি বিশ্বযুদ্ধের। উল্লেখ্য, এর আগে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ক্রেগ। তারপর থেকেই তাঁকে অনেকে ‘নতুন নস্ট্রাদামুস’ দামে ডাকা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তবু থামছে না সেই যুদ্ধ।
তবে ক্রেগ জানিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত এই যুদ্ধ থেকে হবে না। বরং তাইওয়ান থেকে এই মহাযুদ্ধ শুরু হবে। একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ক্রেগ। যার জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। তাঁর মতে, দু’টি বিমান অথবা দু’টি সাবমেরিনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে পারে। এই ঘটনার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সংঘাত বাঁধবে। আগামী দু’বছরে এটি আরও গুরুতর আকার নেবে।
ক্রেগের মতে, চলতি বছরে তাইওয়ান নিয়ে একটি সংঘাত যে হবে তা তিনি অনুভব করতে পারছিলেন। বিমান বা সাবমেরিন দুর্ঘটনা কারও অঙ্গুলিহেলনের জন্যেও হতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। তবে এই সংঘাত হলে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এমনিতেই চিন (China) ও তাইওয়ানের মধ্যে একটি সংঘাত রয়েছে। তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন দেশ মনে করে। কিন্তু চিন তাদের নিজেদের অঙ্গ হিসেবে দাবি করে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি বেঁধেও যায়, তাহলে তার ফলাফল কী হবে? ক্রেগ হ্যামিলটনের মতে, আমেরিকা তাইওয়ানকে সমর্থন করবে। তিনি আরও জানান, এই যুদ্ধ এতটাই বড় আকার নেবে যে এটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে হার মানাবে। তিনি এও মনে করেন যে রাশিয়া চিনকে সমর্থন করতে পারে। এটি হলে আরও ভয়াবহ হবে পরিস্থিতি। তবে এর ফলে চিন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। একাধিক নতুন দেশ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, আসল নস্ট্রাদামুসও চলতি বছরে মহাযুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।