এবার অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়ে দিলেন বড়সড় সুখবর! ২০২৪ সালের মধ্যেই এই বিশেষ উপহার পাবে ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এনেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnav)। গত শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন যে, ভারতে তৈরি প্রথম সেমিকন্ডাক্টর চিপ আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান এক বছরের মধ্যে দেশে চার-পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২৪ সালের মধ্যে আসবে “মেড ইন ইন্ডিয়া চিপ”: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাতের পর  দু’দেশের যৌথ বিবৃতির পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিকদের জানান যে প্রথম “মেড ইন ইন্ডিয়া” চিপ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে। তিনি বলেন, গুজরাটের প্রস্তাবিত মাইক্রন সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের জন্য জমি বরাদ্দ, প্ল্যান্ট ডিজাইনের কাজ সহ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সম্পন্ন করা হয়েছে।

কি জানিয়েছেন মন্ত্রী: বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, মাইক্রনের প্রথম “মেড ইন ইন্ডিয়া” চিপ এখন থেকে প্রায় ছয়টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, কম্পিউটার চিপ প্রস্তুতকারী মাইক্রন গুজরাটে তার সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি এবং টেস্টিং প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যার উপর মোট ২.৭৫ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২,৫৪০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করা হবে।

বিনিয়োগ করা হবে ৮২.৫ কোটি ডলার: এদিকে, মাইক্রন গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল যে, এই প্ল্যান্টে দু’টি ধাপে সামগ্রিক বিকাশ করার লক্ষ্যে তারা তাদের পক্ষ থেকে ৮২.৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। এমতাবস্থায়, বাকি টাকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিনিয়োগ করবে বলেও জানা গিয়েছে।

whatsapp image 2023 06 24 at 1.16.55 pm
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে: পাশাপাশি, মাইক্রন আরও জানিয়েছে, গুজরাটে এই অ্যাসেম্বলি এবং টেস্টিং প্ল্যান্টের পর্যায়ক্রমে নির্মাণ ২০২৩ সালেই শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে পাঁচ লক্ষ বর্গফুট ক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এর কার্যক্রম শুরু হবে। সেমিকন্ডাক্টর চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, এই প্ল্যান্টটি প্রায় ৫,০০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে এবং ১৫,০০০ জন বেশ কয়েক বছর ধরে পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর