বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (Steel Authority of India Ltd, SAIL) দ্বারা করা উচ্চাভিলাষী “গ্রোথ প্ল্যান”-এর জন্য রাজ্য একটি বড় সুবিধা পেতে চলেছে। কারণ এটি বার্নপুর এবং দুর্গাপুরে বৃহৎ সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, এর ফলে বার্নপুরে স্থিত IISCO স্টিল প্ল্যান্ট এবং দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (DSP) ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করবে। মূলত, সর্বশেষ আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের পর IISCO-এর ক্ষমতা বার্ষিক ২.৫ মিলিয়ন টনে (mt) উন্নীত করা হয়েছিল। তবে, SAIL এখন আরও ৪.৫ মিলিয়ন টন ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। যার ফলে মোট ইনস্টলড ক্ষমতা পৌঁছে যাবে ৭ মিলিয়ন টনে।
উল্লেখ্য যে, কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই IISCO-র জন্য একটি নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে এবং চূড়ান্ত অনুমোদন আগামী ৩১ মার্চ, ২০২৪-এর আগে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর পরে, SAIL প্ল্যান্ট এবং যন্ত্রপাতিগুলির জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু করবে। এই প্রসঙ্গে ICRA-র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং গ্রুপ হেড জয়ন্ত রায়, উল্লেখ করেছেন যে, নেতৃস্থানীয় প্রাথমিক ইস্পাত প্রস্তুতকারীরা ক্রমবর্ধমানভাবে অর্থনীতিকে অর্জনের জন্য উচ্চ ক্ষমতার দিকে নজর দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: এই দেশগুলির কোষাগারে মজুত রয়েছে সবথেকে বেশি পরিমাণে সোনা! তালিকায় ভারত কত নম্বরে?
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, “৩ মিলিয়ন টন বা তারও বেশিকে এখন একটি কার্যকর আকার হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।” মূলত, IISCO এবং দুর্গাপুরের প্ল্যান্টের এই সম্প্রসারণ ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৩৫ মিলিয়ন টনের ধারণক্ষমতায় পৌঁছনোর জন্য SAIL-এর উচ্চাকাঙ্খী রোড ম্যাপের একটি অংশ। সংস্থাটি কিছু সময়ের মধ্যে বিনিয়োগের বিতরণের জন্য পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারণ করতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ‘ডিএ দেওয়ার মুরোদ নেই অথচ দুর্গাপুজোয় ৪০০ কোটি!’, যৌথ মঞ্চের তরফে মিলল কড়া হুঁশিয়ারি
এদিকে, বার্নপুর এবং বোকারো স্টিল প্ল্যান্টের কাজের ক্ষেত্রে ৩ মিলিয়ন টন যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তারপরে কাজ হবে দুর্গাপুরে। SAIL-এর ভিলাই এবং রাউরকেল্লাতেও ইন্টিগ্রেটেড স্টিল প্ল্যান্ট রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, IISCO ভারতের প্রথম ইস্পাত কারখানা হওয়ার উত্তরাধিকার বহন করে। যেটি ১৮৭০ সালে বার্নপুরের কাছে কুলটিতে কাজ শুরু করেছিল। অপরদিকে, জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন সরকারের পরে ১৯৫৯ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের সক্রিয় অনুপ্রেরণায় DSP স্থাপন করা হয়েছিল।
এমতাবস্থায়, সবকিছু ঠিকঠাক এগোলেএই প্রকল্পগুলি একে অপরের থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বার্নপুর এবং দুর্গাপুরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচনা করতে পারে। নির্মাণের পর্যায়ে, এই প্রকল্পের কাজের জন্য বিপুল শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। যেটি স্থানীয় অর্থনীতিকে ইতিবাচক প্রভাব এনে দেবে। এদিকে, কাজ শেষ হওয়ার পর, বর্ধিত ক্ষমতাযুক্ত প্ল্যান্টগুলিতে এবং সেইসাথে নিম্নধারার শিল্পগুলিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।