বাংলাহান্ট ডেস্ক: লাল পাড় সাদা শাড়ি, আলতায় রাঙানো হাত, পা। চোখে হালকা কাজল আর ভিজে খোলা এক ঢাল চুল। মহালয়ার দিনে যেন দেবী রূপে ধরা দিলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এ দেবী দশভূজা নন, দ্বিভূজা। যাকে প্রত্যেক বাড়িতে মা, কাকিমাদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। বাঙালি নারীর চিরন্তন ঐতিহ্যকেই নবরূপে ফুটিয়ে তুললেন অভিনেত্রী।
সাজের কোনো আধিক্য নেই। সাদামাটা শাড়ি আর হালকা মেকআপেই বাজিমাত করেছেন নুসরত। দেবীপক্ষের সূচনায় পদ্ম হাতে ক্যামেরাবন্দি হলেন তিনি। ভিডিও দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। নুসরতের এই নতুন রূপ দেখে অবাক অনুরাগীরাও। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, মডার্ন লুকের থেকে এই শান্ত, স্নিগ্ধ রূপেই বেশি ভাল লাগে নুসরতকে।
অনেকে তাঁর প্রশংসাও করেছেন সাহস যুগিয়ে এই ফটোশুট করার জন্য। একজন লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর। মুসলিম হয়েও এত সুন্দর করে বাঙালি ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য।’ আরেকজন লিখেছেন, এমনিতে ভালোই, কিন্তু সার্জারির পর ঠোঁটটা অহেতুক বড় লাগে।
তবে মৌলবাদীরাও চুপ করে থাকেননি। কেউ লিখেছেন, নকল হিন্দু সেজে সনাতন ধর্মকে অপমান করেছেন নুসরত। আবার কারোর কটাক্ষ, ইসলাম ত্যাগ করা শয়তানের কাজ! ভয় করা উচিত যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে। আবার একজন লিখেছেন, মহা ঠগবাজ মেয়ে নাকি মা দূর্গা!
https://www.instagram.com/reel/Ci6xkf1DmaO/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
অবশ্য এটা প্রথম বার নয়। এর আগেও ত্রিশূল হাতে দূর্গা সেজে ফটোশুট করেছিলেন নুসরত। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে হিন্দু উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য, অষ্টমীর অঞ্জলী দেওয়ার জন্য বা রথযাত্রায় রথ টানার জন্য কটাক্ষের শিকার হন নুসরত। এমন ট্রোল বহুদিন ধরেই চলে আসছে। নুসরত নিজেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এ ব্যাপারে। কিন্তু তিনি কখনোই তেমন পাত্তা দেননি। নিজে যেটা ভাল বোঝেন সেটাই করেন নুসরত।