বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই রঙের উৎসবে মেতে ওঠার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সমগ্র দেশজুড়ে (India)। ঠিক এই আবহেই একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, চলতি বছরের হোলি সমগ্র দেশজুড়েই ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে। কারণ, এই বছর, হোলির মরশুমে, গত বছরের তুলনায় সারা দেশে প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যবসা বেড়েছে। যার ফলে দেশে ব্যবসার পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল শুধুমাত্র দিল্লিতেই ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিগত বছরের মতো এবারও দেশের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও হোলির উৎসবে চিনা পণ্য পুরোপুরি বর্জন করার পথে হাঁটছেন। দেশে হোলি সংক্রান্ত পণ্যের আমদানি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। যা এবার একেবারেই নগণ্য। এই প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)-এর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা চাঁদনি চকে বিজেপির প্রার্থী প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন যে, এবার ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরা হোলির জিনিসপত্র বিক্রিতে চিনে তৈরি পণ্য বয়কট করেছেন।
ভারতে তৈরি পণ্য বিক্রি হচ্ছে: এবার ভেষজ রং ও আবির, পিচকারি, বেলুন, চন্দন, পুজোর উপকরণ, পোশাকের মতো ভারতে উৎপাদিত জিনিসপত্র প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, বাজারে মিষ্টি, শুকনো ফল, উপহার সামগ্রী, ফুল ও ফলমূল, জামাকাপড় থেকে শুরু করে এফএমসিজি পণ্যের শক্তিশালী চাহিদা দেখছে। খান্ডেলওয়াল বলেছেন যে এই বছর, দিল্লি সহ সারা দেশে হোলি উদযাপনের ব্যাপক আয়োজন করা হচ্ছে। যার কারণে ব্যাঙ্কোয়েট হল, ফার্ম হাউস, হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং পাবলিক পার্কগুলিতে হোলি উদযাপনের ঝড় উঠেছে এবং ২ বছর পরে এই সেক্টরটি ভালো ব্যবসার মুখ দেখছে।
আরও পড়ুন: কারোর পৌষমাস, কারোর সর্বনাশ! Paytm থেকে চাকরি ছেড়ে ১০,০০০ কোটির কোম্পানি গড়লেন কর্মচারীরা
খুচরো বাজারেও উচ্ছ্বাস: জানিয়ে রাখি যে, শুধুমাত্র দিল্লি জুড়েই ৩ হাজারেরও বেশি হোলি উদযাপনের ছোট-বড় আয়োজন করা হচ্ছে এবং সমস্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী মানুষরা যাতে আনন্দ এবং উৎসাহের আমেজ পান সেই পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, হোলির উৎসব যতই ঘনিয়ে আসছে, দিল্লির সমস্ত পাইকারি এবং খুচরো বাজার পুরোপুরি সেজে উঠছে। হোলির অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে সঙ্গে আবির ও পিচকারি কিনতে সব দোকানেই ভিড়।
বাজারে বিপুল ভিড়: তবে, রঙিন আবির ও পিচকারি ছাড়াও বাজারের দোকানগুলি সাজানো হয়েছে গুজিয়ার মালা ও ড্রাই ফ্রুট দিয়ে। প্রতিদিনই বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, হোলিতে আত্মীয়স্বজনদের কাছে শুকনো ফল ও মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার রীতি থাকায় কেনাকাটার জন্য দোকানে মানুষের ভিড় রয়েছে। এর পাশাপাশি রাসায়নিকযুক্ত আবির ও রঙের পরিবর্তে ভেষজ রঙ-আবিরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।