বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নতুন বাড়ি তৈরি কিংবা ফ্ল্যাট বা অফিস- কোন কিছু নতুন তৈরির ক্ষেত্রে অনেকেই বাস্তুশাস্ত্র (Ecology) এবং বাস্তু বিচার করে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। অনেকে মনে করেন বাস্তুশাস্ত্র মেনে বাড়ি নির্মান করলে জীবনে এবং সম্পদে সর্বদাই মা লক্ষ্মীর (Ma Lakshmi) আশির্বাদ বিরাজ করে।
আজকের দিনে আমরা বাস্তুমতে বাড়ি বা অফিস তৈরি ক্ষেত্রে কিভাবে দিক নির্ণয়ণ করতে হয়, সেবিষয়েই আলোচনা করব। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ি তৈরির জন্য আটটি দিন অর্থাৎ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ঈশান, নৈর্ঋত, অগ্নি এবং বায়ু- সব দিকেরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
পূর্ব দিকঃ শাস্ত্রমতে বাড়ি তৈরির সময় পূর্বদিকে খোলা রাখা উচিত। এখানে দেবরাজ ইন্দ্রের বাস। এছাড়াও পড়ার ঘর, পুজোর ঘর, কাজের ঘর পূর্বদিকে করলে, পরিবারের কল্যাণ হয়। আবার বাড়ি তৈরির পর আলমারী, সিন্দুক এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সেগুলোর মুখ পূর্বদিক করে খোলা যায়।
পশ্চিম দিকঃ এটি বরুণ দেবতার স্থান। তাই এদিকে স্টোর রুম, সিঁড়ি বা জলের ট্যাংক রাখা যেতে পারে।
উত্তর দিকঃ উত্তর দিককে ধনরাজ কুবের দিক হিসাবে ধরা হয়। তাই বাড়ির এইদিকে টাকা পয়সা রাখার স্থান করলে, পরিবারের অর্থলাভ হয়। তবে ভুল করেও এদিকে শৌচালয় বানাবেন না।
দক্ষিণ দিকঃ কথায় বলে ‘যমের দক্ষিণ দুয়ার’। অর্থাৎ দক্ষিণ দিক হল মৃত্যুরাজ যমের। তাই এদিকে কখনই খাবার জিনিস অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিস রাখা উচিত নয়।
ঈশানঃ ঈশান দিককে দেবাদিদেব মহাদেবের দিক হিসাবে ধরা হয়। তাই শাস্ত্রমতে বাড়ির এই দিকে কোন সমস্যা হলে বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সমস্যা আসতে বলে মনে করা হয়।
নৈর্ঋতঃ এই শব্দের অর্থ দানব। তবে বাড়ির এইদিকে কখনই জলের ট্যাংক রাখবেন না।
অগ্নিঃ এই দিককে অগ্নিদেবের দিক হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই বাড়ির এই দিকে কখনই স্নানাগার, শৌচালয় করতে নেই।
বায়ুঃ ঘরের এই দিককে বৈঠকখানা হিসাবে ব্যবহার করুন। কখনই খাবার ঘর বা শোয়ার ঘর হিসাবে ব্যবহার করবেন না। এই দিককে পবন দেবের দিক হিসাবে ধরা হয়। তাই পরিবারের সকলে মিলে এইদিকের ঘরে সময় কাটালে সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।