বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: যে কোন ক্ষেত্রেই যদি কি একটা সময়ের পর ভাগ্য আপনার সঙ্গ না দেয় তাহলে আপনি প্রবল চেষ্টা করলেও সফলতা পাবেন না। কঠিন পরিশ্রম করে যেতে পারেন দিনের পর দিন। তো কোনো এক বিশেষ মুহূর্তে আপনার ভাগ্যের সহায়তা লাগবেই। কে আমরা এমনই এক ক্রিকেটারের কথা বলব যিনি সৌভাগ্যের অভাবে রাজকীয় ভাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করলেও এই বাঁ-হাতি স্পিনার এখন বিস্মৃতদের দলে।
অসমের বোলার প্রকাশ ভগতের নাম অনেকেই জানেন না হয়তো। দুর্দান্তভাবে নিজের ঘরোয়া ক্রিকেটের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। সচিন,সৌরভদের বিরুদ্ধে নেটে বল করলেও জাতীয় দলে তাদের সঙ্গে খেলার ভাগ্য হয়ে ওঠেনি। তার প্রতিভা দেখে তাকে ভারতীয় দলের নেট বোলার হিসেবে ডাকা হয়েছিল।
আসামের হয়ে বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে বিশেষত অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে তিনি বিহারের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে সকলের নজরে এনেছিলেন নিজেকে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন খামতি থেকে গিয়েছিল বা বলা যায় ভাগ্য সাথ দেয়নি। ফলে একসময় প্রতিভাবান উঠতে ক্রিকেটার থেকে আজ তিনি আসামের একজন সামান্য চা বিক্রেতা।
ভারতের হয়ে নেট বোলিং করার সময় তিনি অনেক ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের নজর কেড়েছিলেন। সচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলীর রীতিমতো দিয়েছেন নেটে। হয়তো পূর্বাঞ্চলের ক্রিকেটার বলেই কেরিয়ার কিছুতেই হচ্ছিল না। তবুও ক্রিকেটকে আঁকড়ে বেঁচে ছিলেন তিনি। কিন্তু সালে বাবা মারা যাওয়ার ফলে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয় তাকে। নেট বোলিং করে সংসার চালানো যায় না। আছো জীবনযুদ্ধে পুরোপুরি সফল হতে না পারার বেদনা কে ভারাক্রান্ত করে তোলে প্রকাশের। তার সমসাময়িক যারা খেলতেন তারা বিশাল উন্নতি না করতে পারলেও সকলেই আজকে সুপ্রতিষ্ঠিত। আর আজকে তাকে চা ডালপুরি বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে। কেন এই দ্বিচারিতা? প্রশ্ন থাকলেও উত্তর পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।