দিলীপের বৈঠক এড়ালেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও তিন বিধায়ক! মুকুল বিয়োগের পর অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার একদিকে যখন সপুত্র মুকুল রায় (mukul roy) আবারও ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলের আশ্রয়ে, সেইসময় অন্যদিকে বনগাঁয় দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে গরহাজির দেখা গেল একাধিক সাংসদ নেতাদের। যা নিয়ে আবারও গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানত, দলের পরিশ্রমী প্রার্থীদের উৎসাহ দিতে এবং ভোটদানকারীদের ধন্যবাদ জানাতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে খবর।

বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির ৩ বিধায়ক উপস্থিত থাকলেও, সেখানে ছিলেন না গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তানিয়া, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বৈঠকে সাংসদ এবং বিধায়কদের দেখা না যাওয়ায়, প্রবল অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। যার ফলে কিছুটা মেজাজের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়।

এবিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য বিজেপিতে এসেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন। এই বেসুরোদের জন্য দলের কোন ক্ষতি হবে না। দলের কর্মীরাই দলের সম্পদ, তাঁরা দলেই রয়েছেন’।

তবে এদিন মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কি করব আমি! বর্তমানে রাজ্যের হাজার হাজার বিজেপি কর্মীরা এখন ঘরছাড়া। তাদেরকে ফিরিয়ে আনাই এখন আমাদের প্রধান কাজ। কে এল, কে গেল- সেসব নিয়ে ভাবার অত সময় নেই এখন আমাদের’।

প্রসঙ্গত এদিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবকে পদত্যাগ পত্র পাঠান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তপন সিন্‌হা। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমাকে জানানো হচ্ছিল না, যার ফলে আমি কিছুই জানতে পারছিলাম না। তারউপর আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণেই, আর পেরে উঠছিলাম না। সেই কারণেই আপাতত পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে কি করব, তা এখনও ঠিক করিনি’।

X