বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) আর কখনও মুখোমুখি ট্যাঙ্ক যুদ্ধে সামিল হয়নি। যদিও ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় পশ্চিম সীমান্তে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হলেও এক রাউন্ডও ফায়ার করা হয়নি। তবে ভবিষ্যতেও যে এমনটাই হবে তার কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine War) যুদ্ধে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলগুলি ট্যাঙ্কগুলির ওপর যে কি প্রভাব ফেলেছিল তাও দেখেছি আমরা। এমতাবস্থায়, এবার নিজেদের কাছে থাকা ট্যাঙ্কগুলিকে নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান। এমনকি, ভারতীয় ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য নতুন প্রস্তুতি বাস্তবায়নের চেষ্টাও শুরু করেছে তারা। এই প্রসঙ্গে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে, এই কাজের জন্য তুরস্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য যে, চিনের মতো তুরস্কও পাকিস্তানের কাছে সবসময়ের বন্ধু। তাই তুরস্ক এই ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন করবে বলে পাকিস্তান মনে করেছে। পাশাপাশি, গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান তুরস্ক থেকে লং রেঞ্জ, মিডিয়াম রেঞ্জ এবং শর্ট রেঞ্জ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড অস্ত্রের একটি বড় সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, লং রেঞ্জ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড ওয়েপনের রেঞ্জ হল ৭ কিমি, মিডিয়ামের রেঞ্জ হল ২.৫ থেকে ৪ কিমি এবং শর্ট রেঞ্জটি হল শোল্ডার ফায়ার এটিজিএম সিস্টেম।
বহুবার তুরস্কে সফর হয়েছে: একই সঙ্গে তুরস্ককে অস্ত্র ব্যবসার প্রসঙ্গে পথ দেখাচ্ছে পাকিস্তান। অর্থাৎ তুরস্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিভিন্ন রেঞ্জের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড অস্ত্র তৈরি করে নিজেদের ব্যবহারের পাশাপাশি সেগুলি অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রির স্বপ্নও দেখাচ্ছে তারা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই কারণে পাকিস্তানের একাধিক প্রতিনিধিদল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তুরস্কে বেশ কয়েকবার সফরও করেছেন।
OMTAS-এর পরীক্ষা করা হচ্ছে: জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তান ২০১৯ সাল থেকে তুরস্কের মিডিয়াম রেঞ্জ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল সিস্টেম OMTAS-এর পরীক্ষা করছে। ২০২১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এটির ফের পরীক্ষা করে। এছাড়াও, সার্বিয়ার ATGM-এর দিকেও নজর রাখছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তির কথা মাথায় রেখেই পাকিস্তান এই সব প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চিনেরও সাহায্য নিচ্ছে তারা: ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে দেশীয় ট্যাঙ্ক অর্জুন, T-90 এবং T-72 রয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য হালকা ট্যাঙ্ক জোরাওয়ারও সামিল রয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের মারণক্ষমতা অসাধারণ হওয়ায় চিনের সহায়তায় আল খালিদ ট্যাঙ্ক তৈরি করছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে পাকিস্তান চিনকে তাদের পুরোনো T-85 ট্যাঙ্কের আধুনিকীকরণেরও প্রস্তাব দিয়েছে। এর পাশাপাশি, তারা চিন থেকে 360 VT-4 মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক কিনছে বলেও জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পাকিস্তানও বড় ধাক্কা খেয়েছে। মূলত, পাকিস্তান তার ট্যাঙ্কগুলিকে রক্ষা করার জন্য ইউক্রেন থেকে অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় ছিল, যা এই যুদ্ধের কারণে ব্যাহত হয়েছে।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!