বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানে সরকার বদল হলেও বদলায়নি পরিস্থিতি। আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে এই মুহুর্তে জ্বালানি তেল বাঁচানোর নতুন নতুন পথ খুঁজতে ব্যস্ত পাকিস্তান সরকার। এবার জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য কর্মদিবস কমানোর যায় কি না, তা নিয়েও বিবেচনা শুরু করেছে সে দেশের সরকার। কর্মদিবস খানিক কমানো গেলে বছরে ২.৭ বিলিয়ান ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে বলেই দাবি পাক সরকারের।
বর্তমানে তিনটি সম্ভাব্য উপায়কে বিবেচনা করে দেখছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান। এই পন্থাগুলির মাধ্যমে বার্ষিক ১.৫ বিলিয়ান মার্কিন ডলার থেকে ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক নুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষের ১০ মাসে ( জুলাই থেকে এপ্রিল) পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের আমদানি ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। বিগত অর্থবর্ষের একই সময়ের হিসেবের তুলনায় এই খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯৬%। মালবহন এবং পরিবহন না ধরেই পাকিস্তানে প্রতি সপ্তাহে একটি কর্মদিবসে ৬৪২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। এবার কর্মদিবস কমিয়ে এই খরচই কাটছাঁট করতে চাইছে সে দেশের সরকার।
এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য প্রস্তাবিত উপায়গুলির প্রথমটিতে য় বলা হচ্ছে, কর্মদিবস কমিয়ে সুতায় চারটি করে ছুটি দেওয়া হবে। এভাবে এক মাসে সাশ্রয় হবে ১২২ মিলিয়ন ডলার, যা বার্ষিক হিসেবে গিয়ে দাঁড়াবে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। দ্বিতীয় পদ্ধতুতে সপ্তাহে চারটি কর্মদিবস, দুটি ছুটি ও একটি লকডাউন ঘোষণার কথা বলা হচ্ছে। এভাবে মাসে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার এবং বার্ষিক ২.১ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা যাবে। তৃতীয় ক্ষেত্রে আবার সপ্তাহ চারটি কর্মদিবস, একটি ছুটি এবং দুদিন লকডাউন ঘোষণা করার কথা বলা হচ্ছে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মাসিক সাশ্রয় হবে ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক ক্ষেত্রে সেই হিসেব দাঁড়াবে ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। নতুন সরকারকে কর্মদিবস কমিয়ে শুধুমাত্র দিনের বেলায় বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যাতে বিদ্যুৎও সাশ্রয় করা যায়। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে গত সপ্তাহে ৩৮টি বিদেশী পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানে। এতে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে মোবাইল ফোন, পাস্তা, জ্যাম ইত্যাদিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।