বাংলা হান্ট ডেস্ক : জম্মু কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) থেকে বিতাড়িত পণ্ডিত সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণের ভাবনাচিন্তা আগে থেকেই করছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর অবশেষে ভারতীয় জনতা পার্টির ‘শৌর্য দিবস’র দিন পাশও হয়ে গেল সেই সংক্রান্ত বিল। বিরোধীরা যদিও মোদী সরকারের কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করে বুধবারের অধিবেশন বয়কট করার কোনও কসরতই বাকি রাখেনি, তবুও কোনোকিছুতেই আটকে রাখা যায়নি এই বিল।
উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন, অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ‘শৌর্য দিবস’ পালন করে বিজেপি। আর এইদিনই সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত মোট দুটি বিল পাশ করান, এবং সেই সাথে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর তীব্র সমালোচনাতেও মুখর হয়ে ওঠেন তিনি। বিল দুটি হল লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল।
এইদিন শাহ তার শাহি আন্দাজে সাফ জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় একটি আসন পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir) থেকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সেই সাথে বলা হয়েছে রাজ্যপাল নিজে কোনও একজন প্রতিনিধিকে POK-র প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন। এছাড়াও রাজ্যপাল কাশ্মীরের অভিবাসী (Migrants) সম্প্রদায়ের থেকে ২ জনকে মনোনীত করতে পারবেন। এবং যার একজনকে অবশ্যই মহিলা হতে হবে।
আরও পড়ুন : মাঝ রাস্তায় হাঙ্গামা, মদ খেয়ে বেসামাল সানি! ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপাকে ‘গদর’ হিরো
এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছিলেন যে দুটি বিল গত ৭০ বছর ধরে কাশ্মীরের বঞ্চিত বাসিন্দাদের ন্যায়বিচার ফিরিয়ে দেবে। সেই সাথে এই বিলে আরও বলা হচ্ছে যে, বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮৩ থেকে বেড়ে ৯০ করা হয়েছে। যারমধ্যে জম্মুর সদস্য সংখ্যা হবে ৪৩ এবং কাশ্মীরের সদস্যসংখ্যা হবে ৪৭। এছাড়াও ৭ টি আসন SC এবং ৯ টি আসন STদের জন্য সংরক্ষিত রাখার কথাও বলা হয়েছে এতে। এসবের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেনী হিসেবে গন্য করা হবে।
আরও পড়ুন : আজকের দিনেই অনুপমের নামের সিঁদুর পরেছিলেন পিয়া! সেই গাঁটছড়ার বাঁধন খুলে গেল মাত্র ৬ বছরেই
সেই সাথে এইদিন অমিত শাহের নিশানায় ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সমস্যার জন্য নেহরুই দায়ি। তার কথায়, “নেহরুজি বলেছিলেন এটা তার ভুল। এটি শুধু ভুল নয়, এই দেশের এত জমি হারানো অনেক বড় সাংঘাতিক একটা ভুল ছিল।” কংগ্রেসকে নিশানা করে শাহের তীর, “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pok) সমস্যা প্রথম দেখা দেয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কারণে। গোটা কাশ্মীর আমাদের হাতে না নিয়েই যুদ্ধবিরতি জারি করা হয়েছিল, তা না হলে সেই অংশ কাশ্মীরেরই থাকত।” তবে শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই POK নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।