বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের সাথে শত্রুতার কারণে দরিদ্র হয়ে পড়া পাকিস্তান তার জনগণকে খাওয়াতে কখনো আমেরিকা আবার কখনো চীনের সামনে নত হচ্ছে। এখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে মুগ্ধ করতে চীন যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। টানা তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাতে দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার তিনি বেইজিং পৌঁছাবেন। এই সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব জোরদার করার ইচ্ছায় এবং পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এটিই শেহবাজ শরিফের প্রথম চীন সফর। পাকিস্তানে রাজনৈতিক অবস্থা যখন এক্কেবারেই অচল হয়ে পড়ছে এবং সেখানে চীনা শ্রমিকদের উপর বারবার হামলার ঘটনায় বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়ছে তখন পাকিস্তান প্রধান মন্ত্রীর এই সফর কিছুটা কূটনৈতিক দিক কে ইঙ্গিত করে। শাহবাজ শরীফই প্রথম সরকারপ্রধান যিনি ব্যক্তিগতভাবে ৬৯ বছর বয়সী জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে, জিনপিং অপ্রত্যাশিতভাবে রাষ্ট্রপতির তৃতীয় মেয়াদ পেতে সক্ষম হন। দলের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং-এর পর তিনিই প্রথম নেতা যিনি তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার আগে সকল রাষ্ট্রপতি তাদের 10 বছরের মেয়াদ অর্থাৎ দুই মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর অবসর গ্রহণ করেছিলেন। শরীফ (শেহবাজ শরীফ) সোমবার চীনের সরকারি ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ লেখা একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘আমি জেনারেল সেক্রেটারি শি জিনপিং এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে চীনের অগ্রগতির একটি নতুন যুগ শুরু করার জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে এটি বলছি যে এটি চীন-পাকিস্তান বন্ধুত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শরীফের সফরের আগে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে যে এই সফরটি একটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বন্ধনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান শরিফের পক্ষে ৬০ বিলিয়ন ডলারের চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) প্রশংসা করেছেন। শরীফ তার নিবন্ধে কাশ্মীর ইস্যুকেও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার চেতনার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই এবং জাতিসংঘের সনদ এবং রেজোলিউশনের ভিত্তিতে সংলাপ ও কূটনীতি চাই৷ আমরা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই৷’