বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবাসরীয় মহাযুদ্ধে বাবর বিরাটদের সম্মুখ সমর দেখার জন্য আজ রীতিমতো মুখিয়ে ছিল সকলে, কিন্তু ভারতের জন্য শুরুটা যে এরকম দুঃস্বপ্নের হবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি অনেকেই। দুবাইয়ে এদিন টসে জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। আর নিজের প্রথম স্পেলেই সেই সিদ্ধান্তকে দুর্দান্তভাবে সফল প্রমাণিত করেন পাকিস্তানের বাঁহাতি গতি তারকা শাহীন শাহ আফ্রিদি। প্রথমেই রোহিতের প্যাডে আছড়ে পড়ে তার বল, এই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফর্মে থাকা কেএল রাহুলকেও বোল্ড করেন তিনি।
একইসঙ্গে এ দিন হাসান আলীর শিকার হন সূর্য কুমার যাদবও। ফলত মাত্র ৩১ রানের মধ্যেই তিন মহারথীকে হারিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। তবে এই পরিস্থিতি থেকে ফের একবার ভারতের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট। একইসঙ্গে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন পন্থও। দুজনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপ দেখে মনে হচ্ছিল হয়তোবা প্রথম দুঃস্বপ্ন সামলে উঠে ফের একবার কাম ব্যাক করবে ভারত। কিন্তু ঠিক এই সময় ভারতকে ফের বড় ধাক্কা দেন শাদাব খান। তার বলে তার হাতেই তালুবন্দি হয়ে ৩০ বলে ৩৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন পন্থ। অন্যদিক থেকে আজ তেমন সাহায্য পাননি বিরাট। তবে একাহাতেই ভারতকে আজ কিছুটা স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ৪৯ বলে ৫ টি বাউন্ডারি এবং ১ টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৫৭ রানের ইনিংস খেলে তিনি আফ্রিদির শিকার হতেই শেষ আশাও শেষ হয়ে যায় ভারতের। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, দুটি উইকেট পান হাসান এবং একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন শাদাব এবং হ্যারিস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরু থেকেই জ্বলে ওঠে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের সামনে রীতিমতো অসহায় দেখাচ্ছিল ভারতীয় বোলিংকে। অশ্বিনের না থাকাও আর যথেষ্ঠ বেগ দিয়েছে কোহলিকে। অন্যদিকে আজ চূড়ান্ত রান খরচা করেন ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামিরাও। অন্যদিকে প্রথম উইকেটেই শতাধিক রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে পাকিস্তানও বুঝিয়ে দেয় এবার বদলাতে চলেছে ৫-০ ফলাফলের রেকর্ড।
প্রথম থেকেই রেকর্ড বদলানোর যে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন বাবর আজম, আজ নিজে হাতেই পাকিস্তানকে সেই কাঙ্খিত জয়ের দিকে নিয়ে যান তিনি। দুই ওপেনারের জোড়া অর্ধশত রানে আজ রীতিমতো ব্যাকফুটে চলে যায় বিরাট বাহিনী।শেষ পর্যন্ত ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। একদিকে যেমন ৫৫ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। তেমনি ৫২ বলে ৬৮ অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বাবর। ভারতের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে এই জয় নিশ্চই ভীষণ আত্মবিশ্বাস দেবে পাকিস্তানকে।