‘মরে গেলে …” আদালতে কাতর আর্জি পার্থর, সম্মান নষ্ট হচ্ছে! অভিযোগ অর্পিতার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাঁরা তিন অবতার। কারও কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা, আবার কারও বিরুদ্ধে সরাসরি চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তবে তাঁদের একটাই তাঁরা নির্দোষ। তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। কেন মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না? আর কতদিন আটকে রাখা হবে? মঙ্গলবারের শুনানিতে কাতর প্রশ্ন তিন অভিযুক্তের।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী এদিন আদালতে জানান, গ্রেফতারের আগে থেকে নানাবিধ রোগে ভুগছেন তাঁর মক্কেল। ইডি-র আইনজীবী জবাবে স্পষ্ট বলেন, ‘মেডিক্যালের ব্যাপারে কিছু বলার নেই। এইমসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। ফিট বলেছে।’ পার্থর আইনজীবীর দাবি, এইমসের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে বলা হয়। একথা শুনে বিচারক বলেন, ‘জেলের ভিতরে তেমন পরিকাঠামো আছে কি? ওঁর যদি তেমন অসুবিধা হয় তখন নিশ্চই দেখা হবে।’

পরে জেল থেকে পার্থ বিচারককে বলেন, ‘আমার পা ফুলে যাচ্ছে। এখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। আমার শরীর দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে। এখানকার পরিস্থিতি দেখে যান। এখানে এত বন্দি আছে। আমার পা ফুলে ঢোল। যদি মরেই যাই তাহলে আর কি বিচার। যে যার মতো মিডিয়া ট্রায়াল করে যাচ্ছে। তদন্তের নামে ৮ মাস হল। আর কমাস রাখবে? ভাল থাকবেন স্যার।’

partha arpita

মানিক ভট্টাচার্যের দাবি, বিচার সবার জন্য হোক। অজ্ঞাতপরিচয় কারও চিঠির ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেছেন মানিক। তিনি বিচারককে বলেন, ‘প্রত্যেকদিন আমি কোর্টে আসি, আরও একটি দিন আসার জন্য। আইন কি শুধু সিনেমাতেই হয়? এই পরিস্থিতিতে কোর্ট কি করে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হচ্ছে? আমার বিরুদ্ধে যদি একটি নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে আমার জামিন বাতিল হোক। নাহলে জামিন দেওয়া হোক। এমন একটা অর্ডার দিন যাতে আমি ঘুমিয়ে পড়তে পারি আর যেন না ঘুম ভাঙে।’

অর্পিতাও এদিন ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন এদিন। জেল থেকে তিনি বলেন, ৪ মাস একজন নির্দোষ মহিলা জেলের মধ্যে আছে। আপনার কি মনে হয় না তার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে? বিচারক তখন তাঁকে প্রশ্ন করেন ‘আপনি জামিনের আবেদন করেছেন না কেন?’ অর্পিতা আরও বলেন, ‘আমি একটি উচ্চবংশের মেয়ে। আমার মা বয়স্ক। তার পাশে থাকা প্রয়োজন।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর