বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জল্পনা চলছিল বহুদিন ধরেই আর এদিন সকালে সকল জল্পনা শেষে ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partho Chottopadhyay)। স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোন তৃণমূল মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলো, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এরপরেই আবার জল্পনা উঠতে শুরু করে তৃণমূল নেতার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে। তবে বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জোকা ইএসআই (ESI Hospital) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর মিলছে। এক্ষেত্রে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন সকালে নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পরবর্তীতে তৃণমূল নেতাকে গাড়িতে নিয়ে রওনা দেয় ইডি অফিসাররা। এক্ষেত্রে একাধিক জল্পনার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহল থেকে খবর উঠে আসতে শুরু করে যে, হয়তো সর্বপ্রথম সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হতে চলেছে তৃণমূল মহাসচিবকে। আবার অপর একটি সূত্র মারফত জানা যায় যে, পার্থ ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হতে পারে তাঁকে। তবে শেষ পর্যন্ত জোকা ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছে গেল ইডির গাড়ি।
প্রসঙ্গত, অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতাকে গ্রেফতার করা হলে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রথাই দেখে এসেছে বাংলা। তবে এদিন পার্থকে কেন্দ্রীয় হাসপাতাল ইএসআইতে নিয়ে যাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে। যদিও এদিন তৃণমূল নেতাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, “নেত্রীকে যোগাযোগ করতে পারিনি। কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জানিনা।”
প্রসঙ্গত, গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকার পাশাপাশি একাধিক সোনা-গয়না, ২০টি মোবাইল ফোন এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি। একইসঙ্গে নাকতলার বাড়িতে তৃণমূল মহাসচিবকে প্রায় ২৪ ঘন্টার উপর দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরেই উঠতে শুরু করে গ্রেফতারির জল্পনা এবং শেষ পর্যন্ত এদিন সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে arrest করে ইডি। এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় যোগ সূত্র রয়েছে বলেই অনুমান ইডি অফিসারদের।