বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: যারা ক্রিকেট সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রেখে চলেন তারা জানেন যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) মধ্যে সম্পর্ক এই মুহূর্তে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) খেলতে ভারত পাকিস্তানের যাবে না, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয়ের শাহর (Jay Shah) মুখ থেকে এমন তথ্য সামনে আসার পরেই অস্থিরতা শুরু হয়েছে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে। এখনো অবধি এই বিষয়ের মীমাংসা হয়নি যে আসন্ন এশিয়া কাপটি পাকিস্তানের দায়িত্বে অন্য কোথাও আয়োজিত হবে নাকি পাকিস্তানের মাটিতেই আয়োজিত হবে।
সম্প্রতি শারজার মাটিতে আয়োজিত হতে চলা বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণার সময় এই সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেট্টি (Najam Sethi)। তিনি সম্প্রতি যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা শুনে অনেকেই বেশ আশ্চর্য হয়েছেন এবং সত্যি সত্যি পাকিস্তান সেই পদক্ষেপ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেছেন, “এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল। এশিয়া কাপ কিভাবে আয়োজিত হবে এই প্রশ্নের কোনও সহজ উত্তর আপাতত নেই। সকলেই জানেন যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অন্দরে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষমতা বেশি। পরিস্থিতি এখনো পরিবর্তন হয়নি। ভারত পাকিস্তানের দায়িত্বে অন্য কোন দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্তে এখনও বজায় রয়েছে।”
তারপর তিনি বলেছেন, “আমরা খুব শীঘ্রই ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করব। তখন গোটা ব্যাপারটা থাকবে আইসিসির হাতে। তাই এই ব্যাপারটা নিয়ে আইসিসি এবং এসএসসি দুজনের সঙ্গেই তখন আলোচনা করা যাবে। আর পাকিস্তান ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে যাবে কিনা সেই বিষয়টা নির্ভর করছে পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।”
তিনি এর সঙ্গে যোগ করে বলেছেন, “গোটা বিশ্ব জেনে গেছে যে পাকিস্তানের সুরক্ষার কোন অভাব নেই বা সেই সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ভারত সেই ব্যাপারটা কিছুতেই মানতে পারছে না। আমি সেই কথা একই রকম ভাবে ভারতের বিরুদ্ধেও বলতে পারি। ওখানকার ধর্মীয় অবস্থা সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই ভালো নেই। তাই ওদের দেশে আমাদের ক্রিকেটারদের পাঠাতে আমাদেরও সমস্যা থাকতে পারে। তবে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশের সরকার এবং সুরক্ষা বিভাগ।