বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাথরস কাণ্ডের তদন্তে নতুন তথ্য সামনে এলো। উত্তর প্রদেশ পুলিশ তদন্তে পেয়েছে যে, নির্যাতিত পরিবার আর প্রধান অভিযুক্ত সন্দিপের সাথে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল। নির্যাতিত পরিবার আর প্রধান অভিযুক্ত সন্দিপের মধ্যে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে ফোনে যোগাযোগ শুরু হয়। নির্যাতিতর পরিবার অভিযুক্তের সাথে এক বছরে ১০৪ বার ফোনে কথা বলেছে।
হাতরস মামলার এই তথ্য উত্তর প্রদেশ পুলিশের তদন্তের পর সামনে এসেছে। পুলিশ অভিযুক্ত পরিবারের কল রেকর্ড তদন্ত করে পেয়েছে যে, দুই পরিবারের মধ্যে গত বছর ১৩ অক্টোবর থেকে ফোনে যোগাযোগ শুরু হয়। বেশীরভাগ কল চন্দপা এলাকা থেকে করা হয়েছে। যেটা নির্যাতিতার গ্রাম থেকে মাত্র দুই কিমি দূর।
মোট ১০৪ টি ফোন কলের মধ্যে ৬২ টি কল নির্যাতিতর পরিবার থেকে করা হয়েছিল, আর ৪২ টি অভিযুক্ত সন্দিপ করেছিল। ইউপি পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে, নির্যাতিত পরিবারের সাথে অভিযুক্ত সন্দিপের নিয়মিত কথা হত। অভিযুক্ত সন্দিপকে নির্যাতিতার ভাই ফোন করত।
আরেকদিকে, হাথরস মামলায় উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দাখিল করেছে। ওই হলফনামায় উত্তর প্রদেশ সরকার বিরোধীদের উপর জাতীয় দাঙ্গা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে। উত্তর প্রদেশ সরকারের হলফনামায় দাবি করা হয়েছে যে, পরিবারের সম্মতির পর আর কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়েছে।
নিজেদের হলফনামায় যোগী সরকার অযোধ্যা-বাবরি মামলার কারণ জানিয়ে বলেছে, জেলাকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছিল। করোনার কারণে ভিড় জড় হওয়ারও কারণ দেখানো হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকারর জানায়, অযোধ্যা বাবরি মামলার সংবেদশীলতা আর করোনার কারণে পরিবারের সম্মতির পরই রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়।