অত্যচারের সীমা ছাড়িয়েছে, ‘পুলিশকে শাঁখা-চুড়ি পরাব আজ’, হুঙ্কার সন্দেশখালির মহিলাদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অশান্তি থামার কোনও নামই নেই যেন। কার্যত ছাইচাপা আগুনের উপর বসে গোটা এলাকা। শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের রোষ দেখে বিস্মিত খোদ প্রশাসনও। উন্মত্ত জনতার রোষাণল গিয়ে পড়েছে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডান হাত শিবু হাজরার (Shibu Hazra) সম্পত্তির উপর। ইতিমধ্যেই তার পোল্ট্রি ফার্ম এবং বাগানবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।

এইদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতেই মাঠে নামে পুলিশ। বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে বলেও খবর। তদন্ত আগানোর আগেই ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির জনতা। বিকেলের মধ্যেই ফের একবার হাঙ্গামা শুরু হয় সন্দেশখালি থানার সামনে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন গ্রামের মহিলারাও।

রীতিমত লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার সামনে হাজির হন তারা। গ্রামবসীরা দাবি করেন, পুলিশ যাদের দুস্কৃতি বলে গ্রেফতার করেছে অবিলম্বে তাদের ছেড়ে দিতে হবে। যদিও প্রশাসনের দাবি, যারা প্রতিনিয়ত সন্দেশখালির পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলছে তাদের ছাড়া হবেনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন : মোদীর চরিত্রে বড় সারপ্রাইজ দিলেন ‘রাম’ অরুণ গোভিল! শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে দেশ কাঁপানো আরও এক মুভি

1707436960 sandeshkhali

একই সাথে উন্মত্ত জনতার উদ্দেশ্যে পুলিশ জানায়, কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে জানাতে পারে। তবে সাধারণ মানুষকে আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। যদিও প্রশাসনের এই কথায় চিঁড়ে ভিজবে বলে মনে হচ্ছেনা। যে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও করার চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন : গুগল ক্রোম ব্যবহার করেন? ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ, কড়া সতর্কবার্তা জারি কেন্দ্রের

তাদের দাবি, পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা নিরাপরাধ‌। আসল দোষীরা দিনের পর দিন শোষণ করে আসছে। পুলিশ তখন তাদের শোষণ দেখতে পায়না। আজ যখন প্রতিবাদের ঝড় তখনই প্রশাসনের চোখ খুলেছে। এবং এই গোটা ঘটনার জন্য প্রশাসনকেই দায়ি করল সন্দেশখালির আম জনতা। এক মহিলা জানান, ‘যে সব ছেলেরা মা বোনের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের আগে তুলেছে। আর যারা ১২ বছর ধরে নির্যাতন করে গেল, তাদের গায়ে হাত দিল না পুলিশ। কিন্তু, নিরাপরাধ ছেলেদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। এটাই কী প্রশাসনের নিয়ম? সাংবাদিকদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। কেন দেবে? পুলিশ তো কিছুই করছে না। ওদের আজকে শাঁখা-চুড়ি পরিয়ে ছেড়ে দেব।’

ad

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর