বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে পুলিশি হানার রেশ এখন পুরোপুরি কাটেনি। মঙ্গলবার কোলাঘাটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভাড়া বাড়িতে হাজির হয় প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশের একটি দল। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টাও পেরনোর আগেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা দিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘাটালের পদ্ম প্রার্থীর আপ্ত সহায়ক (Hiran Chatterjee PA) তমঘ্ন দে-র বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। সেই খবর কানে আসতেই সেখানেই পৌঁছন হিরণ। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি (BJP) নেতার কথায়, কী জন্য পুলিশ আচমকা এই অভিজান চালিয়েছে তা নাকি জানানো হয়নি। পুলিশের কাছে তল্লাশির কোনও কাগজ ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
গতকাল রাত ২:৩০ নাগাদ হিরণের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে হাজির হয় ঘাটাল (Ghatal) এবং খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পিএ- র বাড়িতে রাত ৩:৩০ নাগাদ পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে। তদন্তের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গি এসেছে’। তাঁর আপ্ত সহায়ক তমঘ্নর মা হার্টের রোগী বলেও জানান হিরণ।
আরও পড়ুনঃ ‘BJP প্রার্থীদের দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করান’! ভোট প্রচারে গিয়ে মন্তব্য অভিষেকের, তুঙ্গে বিতর্ক
এরপর বিজেপি প্রার্থীর ফেসবুক লাইভেই একজন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, প্রতারণা মামলার তদন্তের জন্য মধ্যরাতে এই অভিযান। অন্যদিকে এই ঘটনার জন্য নাম না করেই দেবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন হিরণ। প্রকৃত দোষীদের না খুঁজে বিরোধীদের হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি।
হিরণের কথায়, ‘এর আগে এখানকার অভিনেতা-সাংসদ বুথ জ্যাম করে ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তবে এবার আর সেটা হবে না। উনি তো নাকি সৌজন্যতার প্রতীক। বাংলার মানুষ তাঁর সৌজন্যতা দেখুক। আমার পিএ-কে ফোন করে শিবির পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে’।