“বুকে লাথি মেরে হাড়গোড় ভেঙে দিতাম”, বিস্ফোরক মন্তব্য কাজলের, কি বলছে বিরোধীরা?

Published on:

Published on:

Politics heats up over Kajal Sheikh's explosive comments against BJP

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের আলোচনার কেন্দ্রে বীরভূমের রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননার অভিযোগ তুলে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই মিছিল থেকে বিতর্কিত হুমকি দেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ (Kajal Sheikh)। তাঁর বক্তব্য ঘিরে নতুন করে বীরভূমে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

“তোমাদের বাবার ভাগ্য ভালো…”, বিস্ফোরক মন্তব্য কাজলের (Kajal Sheikh)

সূত্রের খবর, সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের ডাকে বীরভূম জুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করে তৃণমূল। সেই মিছিলে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখও (Kajal Sheikh)। সেখান থেকেই কাজল বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের বাবার ভাগ্য ভাল সেদিন জেলা পরিষদের অফিস বন্ধ ছিল। না হলে তোমরা যখন মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা করছিলে, ওই সময় যদি আমি অফিসে থাকতাম, তা হলে তোমাদের বুকে লাথি মেরে হাড়গোড় ভেঙে দিতাম।” তাঁর এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় তুমূল বিতর্ক। এদিন কাজল আরও বলেন, “যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে সাহায্য করছেন, তাঁকেই কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা আমরা সহ্য করব না”

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। জানা যায়, বিজেপি কর্মীরা তিলপাড়া ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং জেলা প্রশাসনিক ভবনে ডেপুটেশন জমা দিতে যান। অভিযোগ, সেই পথে মুখ্যমন্ত্রীর একটি পোস্টারে কালি লাগান বিজেপি কর্মীরা। এরপর থেকেই বেজায় চটে যান তৃণমূল নেতারা। ‘বীরভূমের বাঘ’ খ্যাত অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমরাও বিরোধী ছিলাম, কিন্তু কোনও দিন কারও ছবিতে কালি লাগাইনি। এটা ভদ্রতা নয়।” এরপরেই রবিবার তৃণমূল কোর কমিটি থেকে ধিক্কার মিছিলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

কাজল শেখের (Kajal Sheikh) এইরূপ মন্তব্য নিয়ে বিজেপি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল নেতাদের ভাষা এইরকমই। আমরা আন্দোলন করলে আমাদের উপরেই হামলা হয়, আর তারপরে আমাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়।”

Politics heats up over Kajal Sheikh's explosive comments against BJP

আরও পড়ুনঃ শুক্র থেকে রবি টানা বৈঠক, কোন চমক দেবে বিজেপি? আসছে বড় ঘোষণা

উল্লেখ্য, বীরভূমেরএই ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল যে, বীরভূমে রাজনৈতিক সংঘাত কতটা তীব্র। হুমকির ভাষা এবং তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া আগামী দিনে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।