বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রাজস্থান (Rajasthan) থেকে একটি অনন্য বিয়ের প্রসঙ্গ উঠে এল খবরের শিরোনামে। তবে, প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, রাজস্থানে চলতি সপ্তাহে তিনটি নজিরবিহীন বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে উদয়পুরে একটি অশ্বত্থ গাছকে বিয়ে করেন এক রাশিয়ান তরুণী। পাশাপাশি, ভরতপুরে এক জার্মান তরুণী বিয়ে করেন গাজিয়াবাদীর এক যুবককে। তবে, এবার সবচেয়ে আলোচিত বিয়ের প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। যেটি গত ৮ ডিসেম্বরে সম্পন্ন হয় জয়পুরের গোবিন্দগড়ে।
মূলত, সেখানে হিন্দু রীতি অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুকে বিয়ে করেন এক যুবতী। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম হল পূজা। ৩০ বছর বয়সী পূজার এই বিয়ে সম্পন্ন হয় নৃহসিংপুরা গ্রামে। সাধারন হিন্দু বিবাহের মতই পূজার বাড়িতে বিয়ের মন্ডপ সাজানো হয়। পাশাপাশি, সাত পাকে বাঁধা পড়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু এই বিয়েতে বরপক্ষের তরফে কেউ ছিলেন না। বরং ভগবান বিষ্ণুর শালগ্রাম শিলার সাথে বিয়ে হয় পূজার। এদিকে, এই বিয়েতে সিঁদুরের পরিবর্তে পূজার সিঁথিতে চন্দন দেওয়া হয়।
ভগবানকে স্বামী মনে করেন পূজা, শোনেন নি বাবার কথাও: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পূজা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাশ করেছেন। এমতাবস্থায়, এহেন বিয়ে নিয়ে কে কি ভাবছেন এই প্রসঙ্গে মোটেও চিন্তিত নন তিনি। এদিকে, পূজার বাবাও এই বিয়েতে রাজি হননি। কিন্তু, পূজা তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি। সমস্ত রীতি মেনেই তিনি ভগবান বিষ্ণুকে বিয়ে করেন।
এদিকে, পূজার এই বিয়ের কথা শোনার পর সকলেই অবাক হয়েছেন। পাশাপাশি, জ্যোতিষী এবং আচার বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় বাভালিয়া জানান যে শালগ্রাম শীলার সাথে এহেন বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে, দৈনিক ভাস্করের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিশেষজ্ঞ রাকেশ শাস্ত্রী এই বিয়েকে শাস্ত্রসম্মত বলে অভিহিত করেছেন।
বিয়ের পেছনে রয়েছেন এই কারণ: এমতাবস্থায়, এই বিয়ের প্রসঙ্গে পূজা জানিয়েছেন, বর্তমানে সমাজে মহিলাদের অবস্থা খুবই খারাপ জায়গায় রয়েছে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া এবং বিবাহবিচ্ছেদ এখন সাধারণ ব্যাপার। এদিকে, কলেজের পর থেকেই তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই স্বামী-স্ত্রী ও বিবাহিতদের বিভিন্ন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করতে দেখেছি। আমি মনে করি সমাজে বিয়ে এখন আর আগের মতো পবিত্র সম্পর্ক নয়। তারপর আবার বিয়ের পর নারীদের অবস্থা আরও করুণ হয়ে যায়। আমার এই বিয়ের পেছনে যেটা একটা প্রধান কারণ।” এছাড়াও, তিনি নিজেকে ভগবানের কাছে সমর্পিত করতে চেয়েছিলেন। তাই, পূজা তাঁর পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করে অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেন।