বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রায় একটা মাস গরাদের পেছনে কেটেছে বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণির (porimoni)। গত ৪ ঠা অগাস্ট কোনো রকম কোনো আগাম সাবধানতা ছাড়াই বনানীর বাসস্থান থেকে অভিনেত্রী ও তাঁর সহকারী দীপুকে আটক করে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাব। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক বেআইনি দামি মদ এবং মাদক দ্রব্য। তার পরের দিন অর্থাৎ ৫ অগাস্ট পরীমণির বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
সদ্য দিন কয়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন পরীমণি। কিন্তু বাইরে এসেও তাঁর মন থেকে ভয় দূর হয়নি। এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে একজনের কথাই মনে পড়েছে তাঁর যিনি তাঁকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক হ্যান্ডেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন পরীমণি। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তার মানুষগুলোও এত অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কী করে বেঁচে আছি’।
অভিনেত্রী জেলে থাকার সময় কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যার মধ্যে একটি ভিডিওকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছিল ওপার বাংলায়। ভিডিওতে পুলিস আধিকারিক গোলাম মহম্মদ সাকলায়েনকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল যার জেরে পরবর্তীকালে কর্মক্ষেত্রে বদলি হতে হয় পুলিস আধিকারিককে।
জেল থেকে বেরিয়েই এবার এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরীমণি। বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রীর অভিযোগ, তাঁর ফোন, গাড়ি সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। এ সমস্তই ব্যক্তিগত ভিডিও যার তাঁর ফোনে ছিল। ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার কী অধিকার রয়েছে তদন্তকারীদের? প্রশ্ন তুলেছেন পরীমণি। তাঁর আরো অভিযোগ, যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পর্যন্ত চেক করা হচ্ছে।
পরীমণি বলেন, প্রথম থেকেই তিনি শক্ত ছিলেন। যদি সত্যিই কোনো দোষ করে থাকতেন তবে তো তিনি ভেঙে পড়তে। কীভাবে ‘নাটক’ করে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, জেলে তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার হয়েছে সবটাই ধীরে ধীরে প্রকাশ্য আনবেন বলে জানান পরীমণি। অনেকে আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর ছবি তুলে অশ্লীল কনটেন্ট বানিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পরীমণি।