বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারা ভারত যখন কোভিড নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত, তখনই বড় স্বস্তির খবর দিয়েছিল ডিআরডিও। ডিআরডিওর চিকিৎসক অনিল কুমার মিশ্র, অনন্ত নারায়ন ভাট, জুবিলী পুরকায়স্থ এবং সুধীর চান্দনা মিলে এমন এক ওষুধ আবিষ্কার করেন, যা করোনা চিকিৎসায় রামবাণ হয়ে উঠবে বলে দাবি করেছিলেন তারা। ২- ডিজি নামক এই ওষুধটি ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে বাজারে। এর আগেই ড্রাগ কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের তরফে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এই ওষুধকে।
তিনটি ট্রায়ালে প্রায় পাঁচশোরও বেশি মানুষের উপর ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করা হয়েছিল এই ওষুধ। সবক্ষেত্রেই ফল মিলেছে আশাব্যঞ্জক। আর তারপরেই হায়দ্রাবাদের ডঃ রেড্ডিস ল্যাবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় ওষুধ উৎপাদনের কাজ। প্রথম ব্যাচ ইতিমধ্যেই এসেছে বাজারে। এই প্রথম ব্যাচে রয়েছে দশ হাজার ডোজ। তবে এখনো পর্যন্ত এর দাম সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি গ্রাহকরা। অবশেষে এবার এই বিষয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হলো এই ওষুধের প্রতি সসের দাম হতে চলেছে ৯৯০ টাকা। এই ওষুধ শুধু যে কোভিড দ্রুত সারাতে কাজ করে তাই নয়। রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেলও বাড়াতে সাহায্য করে এই ঔষধ।
ডঃ সুধীর চান্দনা আগেই জানিয়েছিলেন উৎপাদন যত বাড়বে ততই এর দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। যাতে এই ওষুধ সমস্ত রোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় যাদের এই মুহূর্তে ভীষণই মারাত্মক অবস্থা। এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। একদিকে যখন ইতিমধ্যেই কোভিড প্রটোকলে শামিল হয়েছে ২-ডিজি, অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়েছে শুধুমাত্র ভীষণ জরুরি অবস্থাতেই এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এও জানানো হয়েছে যে, এই ওষুধের মূল উপাদান হলো গ্লুকোজের অনু। আপাতত ওষুধ থেকে জলে গুলে সেবন করতে হয় রোগীদের।
ইতিমধ্যেই ওষুধ প্রশংসা লাভ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তরফেও। তারা জানিয়েছেন, “যে সমস্ত রোগী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন, এই ওষুধে তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিক করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে ২-ডিজি।” বাজারে আসার আগেই এই ওষুধকে রামবান বলে দাবি করা হয়েছিল। এখন তার কিছুটা প্রমাণ মিলছে। লকডাউনের জেরে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে ফের এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৪ জন মানুষ। মৃত্যু সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। যদিও অনেক সংস্থায়ও দাবি করছেন, সরকারিভাবে দেখানো এই পরিসংখ্যানের থেকেও আদতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক বেশি মানুষ। মৃত্যু হচ্ছে অনেক বেশি। সেই কারণে ২-ডিজির মতো ওষুধ এখন রীতিমতো আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে দেশবাসীর কাছে।