অবশেষে কপাল খুলল সরকারি কর্মীদের, বড় পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! পুজোর আগেই সুখবর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নবান্নের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে দেখভাল করার জন্য। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কমিটির কথা জানানো হয়েছে। জানা গেছে এই কমিটিতে থাকবেন ১০ জন প্রতিনিধি। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এই কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই কমিটির সহ-সভাপতি। কমিটিতে এই দুই মন্ত্রী ছাড়া বাকি আট জন রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। কর্মী বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক, অর্থ এবং পূর্ত দফতরের প্রধান সচিবদের রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। এছাড়াও এই কমিটিতে সামিল করানো হয়েছে সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের তিন জন প্রতিনিধিকেও।

আরোও পড়ুন : ক্রিকেট ছেড়ে ব্যবসায়! আগে থেকেই দুটি কারখানা রয়েছে সৌরভের, জানেন কোথায় আছে?

আগামী ৬ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয় পর্যালোচনা করে নবান্নর কাছে সুপারিশ করবে এই কমিটি। সেই ভিত্তিতে রাজ্য সরকার পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এই কমিটিতে নির্দেশকের ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কাজ করেন মূলত তিনটি স্তরে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীরা কাজ করে থাকেন সচিবালয়, ডিরেক্টরেট এবং আঞ্চলিক অফিসে। সচিবালয়ে কর্মরত কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ থাকে সবথেকে বেশি। কিন্তু সরকারের কাজের যারা প্রাণভোমরা সেই আঞ্চলিক অফিসের কর্মীদের কাজ করতে হয় সব থেকে বেশি, অথচ সুযোগ-সুবিধা থাকে কম।

আরোও পড়ুন : এবার আরও দামি হল জ্বালানি! কততে বিকোচ্ছে পেট্রোল,ডিজেল? কিনতে কালঘাম ছুটবে আমজনতার

কর্মচারীরা এই সংক্রান্ত অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন মারফত সরকারের কাছে পাঠাচ্ছিলেন। নবান্ন এবার সেই প্রেক্ষিতে ঠিক করতে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির সঠিক নীতি। উল্লেখ্য, এই কমিটি মূলত ৭টি বিষয় পর্যালোচনা করবে। আঞ্চলিক স্তরের সরকারি অফিসের কর্মীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিও পর্যালোচনা হবে।

Promotion,State Government,West Bengal,Bangla,Bengali,Bengali News,Bangla Khobor,Bengali Khobor

তবে রাজ্যের এই কমিটি গঠন নিয়ে খুশির হওয়া সরকারি কর্মচারীদের মনে। তাদের বক্তব্য, কেবল সচিবালয়ে কাজ করলে পদোন্নতি হবে, আর ডিরেক্টরেটে কাজ করলে মিলবে না সুযোগ সুবিধা, এটি সম্পূর্ণ বিমাতৃসুলভ আচরণ। দেরিতে হলেও সরকার যে এই ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে তাতেই খুশির হাওয়া কর্মচারীদের মনে।