বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড থেকে টলিউড, সর্বত্র এখন ছবি বয়কটের ডাক। রেহাই পেয়েছে শুধুমাত্র দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বাংলায় রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’ (Dharmajuddha) দিয়ে বয়কট ট্রেন্ডের সূত্রপাত। দীর্ঘ দু-তিন বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। তা সত্ত্বেও ছবি বাতিলের ডাক দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ। বয়কটকারীদের ‘পাগল ছাগল’ বলে কটাক করতেও ছাড়েননি তিনি।
এবার বয়কটকারীদের ধর্মযুদ্ধ দেখার ডাক দিলেন রাজ। মঙ্গলবার নন্দনে ধর্মযুদ্ধ দেখার জন্য সকলকে আহ্বান জানালেন তিনি। রাজ বলেন, ছবির গল্পে এমন কিছুই নেই যাতে কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। এই ছবির বিরোধিতা করা মানেই সম্প্রীতির বিরোধিতা করা। তাই তিনি সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শোতে নিজেও উপস্থিত থাকবেন রাজ। ছবি শেষে প্রশ্ন করা যাবে তাঁকে।
জি ২৪ ঘন্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির আইটি সেল এই বয়কট ট্রেন্ড শুরু করেছে। পোস্ট প্রতি পয়সা পেয়ে এসব করে তারা। এরা কোনো সিনেমা দেখতে, গান শুনতে আগ্রহী নয়। রাজের দাবি, এরা সিনেমা সেক্টরটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। কিন্তু ধর্মের নামে দেশভাগ হতে পারে, সিনেমা বা গান ভাগ হওয়া সম্ভব নয়।
শুধু ধর্মযুদ্ধ নয়, পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি ‘বিসমিল্লা’ও বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ বলেন, ধর্মযুদ্ধ মানুষের গল্প, এক মায়ের গল্প। বিসমিল্লাও তাই। দুটি ছবিই সম্প্রীতির কথা বলে। কিন্তু এরা এই ছবিগুলো বয়কট করে চাইছে অন্য ধর্মকে আঘাত করতে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে, বিদ্বেষ তৈরি করতে।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘লক্ষ্মী ছেলে’ও মুক্তির আগেই বয়কটের মুখে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ বলেন, কিছু প্রোফাইল থেকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল ধর্মযুদ্ধকে। তাদের ডিপিতে লাগানো ভারতমাতার ছবি। অথচ এতটাই দুঃসাহস যে বলছে রাজ শুভশ্রীর বিছানায় যুদ্ধ হলে সেটা দেখতে পারি! পরিচালক জানান, তাঁর ছেলে, তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি কেউ ধর্মযুদ্ধের প্রশংসা করলে তাকে শেষ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এদের কোনো জাত, শিক্ষা নেই বলে মত রাজের।